কুণালের সঙ্গে বৈঠকের পর চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা

কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠকের পর চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্ট ঘিরে তৈরি হয় নতুন এক জল্পনা। কারণ, এই পোস্টে নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, জুনিয়রদের ভালোর জন্য যা করার করেছি। আমি প্রথমে মানুষ, তারপর ডাক্তার। তারপর আমার রাজনৈতিক সত্ত্বা। বৃহস্পতিবার কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠক করেন আরজি কর আন্দোলনের অন্যতম মুখ নারায়ণ বন্দোপাধ্যায়। তবে নারায়ণবাবুর এই পোস্টের পরই পাল্টা তোপ জুনিয়র ডাক্তারদের।

যদিও জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন তুলে নেওয়া বা জট কাটার প্রসঙ্গেও কোনও কথা হয়েছে কিনা কুণাল ঘোষের সঙ্গে, তা জানাননি নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু বলেছেন, তিনি ডক্টরস ফোরামের কোনও পদে নেই। তিনি আন্দোলনকারীদের অভিভাবক মাত্র। এরপরই আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তার আসফাকুল্লা নাইয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘আপনি আমার একটি কথা আপনার ওয়াল-এ লিখেছিলেন ‘ভয় যেমন ছোঁয়াচে সাহস তেমন ছোঁয়াচে। সেদিন থেকে আপনার সব পোস্ট দেখি। আপনার আজকের পোস্ট দেখে কষ্ট পেলাম। বৃহস্পতিবারের -এর মিটিং-এর পর থেকে আপনি বলেছেন, আপনি আগে ডাক্তার। তারপর মানুষ। আর হ্যাঁ জুনিয়র ডাক্তার দের জন্য কিছু প্লিজ করবেন না। জুনিয়র ডাক্তাররা সাধারণ মানুষের জন্যই রাস্তায়। আজকে থেকে সাধারণ মানুষের জন্য করুন। সবার জন্য করুন।’

বৃহস্পতিবার প্রায় ১ ঘণ্টা বৈঠক করেন আর জি কর আন্দোলনের অন্যতম সমর্থক ডা. নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুণাল ঘোষ। জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন নিয়ে কথা হয় বৈঠক হয় দু’পক্ষের। কুণালের সঙ্গে দেখা করার পরে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে নারায়ণ বলেন, ‘আমি এক জন নাগরিক। আমি এক জন চিকিৎসক। কুণাল ঘোষও এক জন নাগরিক এবং সাংবাদিক। আমি একজন প্রাক্তন সাংসদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। আমি একজন ব্যক্তিকে খারাপ কেন বলব? জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের সমাধান নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনও কথা হয়নি । যারা আন্দোলন করছে তারা আমার সন্তানের বয়সী। আমরা কেউ ওদের খারাপ চাই না।’ যদিও ব্যক্তিগত উদ্যোগে বৃহস্পতিবারের বৈঠক ছিল বলেই জানান অপর সিনিয়র চিকিত্‍সক সুবর্ণ গোস্বামী।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + nineteen =