তিলজলা কাণ্ডে অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা ঘোষণা আলিপুর আদালতের। বুধবার আদালত ২০২৩ সালে তিলজলায় নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত অলোক কুমার শাহকে দোষী সাব্যস্ত করে। এরপর বৃহস্পতিবার তাঁর সাজা ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় ৪৫ জন সাক্ষী দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আদালত সূত্রে খবর, ৪৫ জনের বয়ানের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে দোষী সাবস্ত করে আদলত এবং চার্জশিট জমা দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই হয় এই সাজা ঘোষণা।
অভিযুক্ত অলোক কুমার তিলজলা থানা এলাকার শ্রীধর রায় রোডেরই বাসিন্দা। ২০২৩ সালে তাঁর ফ্ল্যাটের রান্না ঘরের সিলিন্ডারের পাশ থেকে বছর সাতের নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। হাত, পা, মুখ বাঁধা অবস্থায় তিলজলার ওই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। অভিযুক্তকে ধরতে গেলে পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় এবং পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এই মামলায় বুধবার আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালত অলোক কুমারকে দোষী সাব্যস্ত করে। অপহরণ, ধর্ষণ, অস্বাভাবিক যৌন নির্যাতনের মতো অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালত অলোক কুমারকে দোষী সাব্যস্ত করে।
অভিযোগ শুনে বিচারক জানান, ‘আপনি নিষ্ঠুরতম কাজ করেছেন, নিজের বিকৃত লালসা মিটিয়েছেন। আপনারা উদ্দেশ্য ছিল, অপরাধ করে পালিয়ে যাওয়া। সংশোধনাগারে পাঠিয়ে সংশোধন করা যাবে না আপনাকে। এই অপরাধ বিরলতম, সাংঘাতিক ও নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড।
বিচারক আরও বলেন, ‘নিজের যৌন লালসার জন্য জোর করে ঘরে ঢোকানো হয় শিশুকে। দেওয়ালে মাথা ঠুকে, দু’ধরনের হাতুড়ি ব্যবহার করেন মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।’ পুরো ঘটনাকে নৃশংস অপরাধ বলে উল্লেখ করেছেন বিচারক।
অভিযুক্তের উদ্দেশে বিচারক বলেন, ‘আপনি একজন ডেলিভারি বয়। আপনারা গায়ে অনেক শক্তি। আপনি এক অসহায় বাচ্চার সঙ্গে যা করেছেন, তা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা নেই। আপনি অমানবিক নিষ্ঠুর কাজ করেছেন, এই ধরনের অপরাধ খুব একটা দেখা যায় না।’ এদিন বিচারক এও জানান, যে ৪৫ জন সাক্ষী দিয়েছেন, তাঁরা অলোক কুমারের বিরুদ্ধেই সাক্ষ্য দিয়েছেন।