শুক্রবার সকাল থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে ৷ কলকাতার তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে ৷ অর্থাৎ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে,সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হতে পারে ২৭ ডিগ্রি, এটিও স্বাভাবিক ৷ এদিকে কলকাতা-ছাড়াও আশেপাশের কয়েকটি এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, শনিবার শহরের সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ সর্বাধিক তাপামাত্রা এক্কেবারে স্বাভাবিক ছিল ৷ সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও ছিল ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস,এটাও স্বাভাবিক ৷ বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৪ শতাংশ ৷ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬৫ শতাংশ ৷ তবে শনিবারের বিকেলের আচমকা বৃষ্টি, বেশ খানিকটা তাপমাত্রার ক্ষেত্রে হেরফের ঘটিয়েছে। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে যে, রবিবার আর কয়েক ঘণ্টায় বেশ কয়েকটি শহর কাঁপাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি ৷ কলকাতা ছাড়াও বৃষ্টি হবে হাওড়া, সল্টলেক, বালি, বসিরহাট, হলদিয়া, কাঁথিতে ৷ পাশাপাশি বৃষ্টি হবে তমলুক, দিঘা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, আসানসোল, দুর্গাপুর, কাটোয়াতেও ৷ একইসঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ডায়মন্ড হারবার, শ্রীরামপুর, কল্যাণী, চন্দননগর, তারকেশ্বর, আমতা, বাগনান, উলুবেড়িয়া, ক্যানিংয়েও।
একইসঙ্গে আগামী মঙ্গলবার ১৮ জুলাই উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। যদিও তা পরবর্তীতে নিম্নচাপে পরিণত হয় কিনা তা সময় বলবে। মৌসম ভবন বলছে, এই মুহূর্তে মৌসুমী অক্ষরেখা গঙ্গানগর, নাড়নাউল থেকে গোয়ালিয়ার, সিদ্ধি থেকে ডালটনগঞ্জ হয়ে হলদিয়ার উপর দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে গিয়েছে। সেখান থেকে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে।
এর পাশাপাশি আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে ১৫ জুলাই রাত ১১টা থেকে ১৬ জুলাই রাত ২টো পর্যন্ত কলকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণও।
ধাপা- ২৪ মিলিমিটার
তোপসিয়া- ৩৭ মিলিমিটার
উল্টোডাঙা- ১১ মিলিমিটার
মানিকতলা- ১৮ মিলিমিটার
দত্তবাগান- ১৩ মিলিমিটার
বীরপাড়া- ৮ মিলিমিটার
কলেজ স্ট্রীট- ৪০ মিলিমিটার
পরমবাজার- ৩২ মিলিমিটার
ঠনঠনিয়া- ১৫ মিলিমিটার
বালিগঞ্জ- ২৮ মিলিমিটার
চেতলা- ২৭ মিলিমিটার
মোমিনপুর- ২৯ মিলিমিটার