বিবস্ত্র করে করা হয়েছিল ব়্যাগিং, প্রমাণ পুলিশের হাতে

যাদবপুরকাণ্ডে নিঃসন্দেহে এক বড় তথ্য উঠে এল তদন্তকারীদের হাতে। তদন্তের ক্ষেত্রে এ এক  চাঞ্চল্যকর মোড়ও বলা যেতেই পারে। আর এই তথ্য সামনে আসতেই মেন হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এবার আরও জোরাল হল ব়্যাগিংয়ের তত্ত্ব। পুলিশ সূত্রে খবর, ব়্যাগিং যে হয়েছিল, সেই বিষয়ে পুলিশ এখন পুরোপুরি নিশ্চিত। সঙ্গে এও নিশ্চিত প্রথমবর্ষের ওই পড়ুয়াকে বিবস্ত্র করেই ব়্যাগিং করা হয়েছিল। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণ পুলিশের হাতে এসেছে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর। আর সেই কারণেই আলাদা করে ব়্যাগিং -এর ধারাও যুক্ত করতে চাইছে পুলিশ।

এখনও পর্যন্ত পুলিশ সূত্র মারফত যা খবর, র‌্যাগিং বিরোধী আইনের ৪ নম্বর ধারা যোগ করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হতে পারে পুলিশের তরফে। সূত্র মারফত এও জানা যাচ্ছে, ঘটনার সময়ে ওই ১২ জন পড়ুয়াই হস্টেলে উপস্থিত ছিল বলে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে। সেক্ষেত্রে প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়ার মৃত্যুর পিছনে ধৃতদের কার কতটা ভূমিকা ছিল, সেই সব দিক খতিয়ে দেখছেন পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকেরা। পুলিশের দাবি, ধৃতদের প্রত্যেকেরই প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল ঘটনার নেপথ্যে। সেই সূত্র ধরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার দ্বিতীয়বার মেন হস্টেলের রাঁধুনিকে ডেকে পাঠানো হয় কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে। কারণ, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা বিষয়টি আরও বিশদে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, এর আগে যখন ওই রাঁধুনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল, তখন তিনি বয়ানে জানিয়েছিলেন প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা হস্টেলে নতুন এলে তাঁদের উপর বিভিন্ন রকমের অত্যাচার চালাতেন সিনিয়ররা। সেই বয়ানের প্রেক্ষিতেই এদিন ফের ডাকা হয় রাঁধুনিকে। আর এই সূত্র ধরেই তদন্তকারী আধিকারিকদের ধারনা, রাঁধুনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও বেশ কিছু তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে। বিশেষ করে ধৃত ১২ জন ছাড়া এই ঘটনার সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত রয়েছে, সেই রাতে ঠিক কী হয়েছিল, তা নিয়ে আরও খুঁটিনাটি বুঝে নিতে চাইছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − 1 =