চাকরি ফিরে পাওয়ার আশায় কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ ববিতা

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা সরকার। আবার তাঁরই নির্দেশে গিয়েছিল চাকরিও। আরও একবার চাকরি ফিরে পাওয়ার আশায় কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ ববিতা। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বিস্তারিত মেধাতালিকা প্রকাশ চেয়ে মামলা করেন তিনি। ববিতার আবেদন, একাদশ-দ্বাদশের বিস্তারিত তথ্য সহ প্যানেল প্রকাশ করা হলে কারা, কী ভাবে, কোথায় চাকরি পেয়েছেন তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। যদি প্রথম ২০ জনের মধ্যে দুর্নীতির কারণে কেউ চাকরি পেয়ে থাকেন তবে তাঁর ফের শিক্ষিকা হওয়ার সুযোগ থাকবে। সেক্ষেত্রে প্যানেল প্রকাশের দাবি করেন ববিতা। বৃহস্পতিবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে।

উল্লেখ্য, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি গিয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। পরিবর্তে চাকরি পান ববিতা সরকার। কিন্তু, পরবর্তীতে তাঁকেও চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, ববিতার চাকরিতে বহাল থাকা সঠিক হবে না কারণ তাঁর প্রাপ্ত নম্বর সম্পর্কিত সঠিক তথ্য এসএসসি জমা দেয়নি। এই মামলার প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় ওএমআর সিট প্রকাশের ক্ষেত্রে কমিশনের অবস্থান জানতে চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। আদালত সূত্রে খবর, শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে।

এদিকে ববিতার আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের বক্তব্য, ২০১৬ সালের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৫৫০০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ৯০৭টি বিকৃত ওএমআর শিট অর্থাৎ উত্তরপত্র উদ্ধার করে সিবিআই। তার মধ্যে ১৩৮ জন ছিলেন ওয়েটিং লিস্টে।

উল্লেখ্য, ববিতা সরকারকে প্রাপ্ত ১৫ লাখ ৯২ হাজার ৮৪২ টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর মধ্যে ১১ লাখ টাকা তাঁকে ১৯ মের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছিল। বাদবাকি টাকা ৬ জুনের মধ্যে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন ববিতা। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। শুক্রবার বোঝা যাবে এই মামলা কোনও নতুন মোড় নেয় কি না বা নতুন আরও কোনও তথ্য সামনে তুলে ধরে কি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − four =