তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে প্রথম থেকে বার্তা দিয়ে আসছেন, ‘মানুষ যাঁকে চাইবেন, তিনিই এবার তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রার্থী।‘ সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে মনোনয়নপর্বও চলেছিল। অভিষেকের সভাস্থল বা যেখানে তিনি অধিবেশন করেছেন সেখানে রাখা হয়েছিল ব্যালট বাক্স। আর এই ব্যালট বক্সেই সাধারণ মানুষের পছন্দের প্রার্থীর নাম জমা দেওয়ার সুযোগও ছিল। তবে এই অভিযান কতটা সফল সে প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। রবিবার হুগলির সপ্তগ্রামে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে তা নিয়ে দ্বিধার সুর যেন ধরা পড়ল দমদমের সাংসদ সৌগত রায়ের গলাতেও।
তৃণমূলের তরফ থেকে পরিকল্পনা থাকলেও তা পুরোপুরি যে বাস্তবায়িত যে করা যায়নি, সে কথা তুলে ধরেই সৌগত রায় বলেন, ‘ভাবনা ছিল সব জায়গায় পঞ্চায়েতের প্রার্থী আমরা ব্যালটের মাধ্যমে ঠিক করতে পারি। কিন্তু সে ব্যাপারে দলের অভিজ্ঞতা ছিল না। তার ফলে অনেক জায়গায় ঠিকভাবে ভোট করা যায়নি। যেটুকু আমরা পেরেছি করেছি। এছাড়াও আইপ্যাকের লোকেরাও বিভিন্ন জায়গায় সার্ভে করেছেন। তাঁদেরও রিপোর্ট আছে। দলীয় নেতৃত্ব যাঁরা আছেন, ব্লক স্তরে তাঁদেরও সাজেশন ছিল। সব মিলিয়ে আমরা পঞ্চায়েতে প্রার্থী ঠিক করেছি।‘
রবিবার হুগলির সপ্তগ্রাম বিধানসভার মহানাদে গিয়ে সৌগত রায় জানান, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের বেশ কিছু নির্দেশ স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এবার মাত্র ১২ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে শাসকদল, যেখানে চাইলে ৮০ শতাংশ আসনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা যেত। কিন্তু তা হয়নি। কোনও জোর জবরদস্তি চলবে না। মানুষ যাতে নিশ্চিন্তে ভোট দিতে পারেন, তা দেখার দায়িত্ব শাসকদলেরই। প্রয়োজনে তার জন্য প্রচারও করতে হবে’ বলে মন্তব্য করতেও দেখা যায় সৌগত রায়কে।
এর পাশাপাশি নির্দল-বার্তাও দেন সৌগত। বলেন, ‘কোনও নির্দল যদি বলে থাকে তাঁকে ভোট দিতে, জিতে তিনি তৃণমূলে যাবেন, সে সুযোগ নেই। একজন নির্দল প্রার্থীকেও ফেরানো হবে না বলেই দল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।‘ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা কাজ করেছেন, তার ভিত্তিতেই ভোটারদের দুয়ারে-দুয়ারে যাওয়ার কথাও এদিন বলতে শোনা যায় দমদমের সাংসদকে।