শুক্রবার কুণাল দাবি করেছিলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের সাংবাদিক বৈঠকের সময় তাঁদের উপর হামলার ছক কষা হয়েছিল। এক অডিয়ো ক্লিপের কথোপকথন থেকে তা স্পষ্ট। এই ক্লিপ বাইরে আসতেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স থানার পুলিশ। এ ঘটনাতে সঞ্জীব দাস নামে এক যুবককে গ্রেফতারও করা হয়। এরপর গ্রেফতার সিপিএম নেতা কলতান দাশগুপ্ত। সূত্রের খবর, লালবাজার থেকে ফিরছিল কলতান। তখনই রাস্তা থেকে তাকে নিয়ে যায় পুলিশ। যদিও গ্রেফতারির পরেই কলতান জানান, ‘আমাকে আটক বা গ্রেফতার কিছুই বলা হয়নি। নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে যখন আন্দোলন চলছে , তখন নজর ঘোরাতেই এটা করা হয়েছে। এটা ষড়যন্ত্র।’
অডিয়ো প্রকাশের মধ্যেই কুণালের দাবি ছিল অডিয়ো ক্লিপে যে দুই ব্যক্তির গলা শোনা যাচ্ছে তার একপারে রয়েছে রয়েছেন এমন এক ব্যক্তি যার নামের আদ্যক্ষর ‘স’। অন্যপারে যিনি রয়েছেন তাঁর নামের আদ্যক্ষর ‘ক’। সঞ্জীবের গ্রেফতারির পরেই সে কারণে ‘স’ নামের ব্যক্তিকে নিয়ে চলছিল চাপানউতোর। কুণালের সাফ দাবি ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিড়ম্বনায় ফেলতেই পুরো ছক কষা হয়েছিল। বাইরে থেকে ছেলেদের এনে হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। এমনভাবে নাকি এই প্লট সাজানো হচ্ছিল যাতে দেখলে মনে হয় হামলার পিছনে আসলে হাত রয়েছে শাসকদলের।
এদিকে কুণাল এই অডিয়ো ক্লিপ বাইরে আনার পর প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন কলতান দাশগুপ্ত নিজেও। বলেছিলেন, ‘এটা বহু পুরনো পদ্ধতি। যখন এরকম আন্দোলন চলে তখন শাসকের তরফে থেকে এরকম কিছু পদক্ষেপ করা হয়। উনি সেরকম কিছু বলেছেন। কারা আন্দোলন করছে, কারা আন্দোলন ভাঙতে চাইছেন তা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানেন। এখন আর নতুন করে মানুষকে বোকা বানানো যাবে না।’ এখন তাঁর গ্রেফতারির পর বাম নেতা তথা বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য কুণালকে ‘কাঠগড়ায়’ তুলছেন। বলছেন, ‘পুলিশের প্রথম কাজ ছিল কুণালকে হেফাজতে নেওয়া। উনি এই অডিয়ো ক্লিপ কোথা থেকে পেলেন, কে দিল এগুলো জানতে হবে।’