পঞ্চায়েত সংক্রান্ত মামলা করে খবরের কাগজে শিরোনাম তৈরি উদ্দেশ্য ।‘ একইসঙ্গে ক্ষুব্ধ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশে আদালতকে ব্যবহারের প্রচেষ্টা করা হচ্ছে মাত্র।‘ এরই রেশ ধরে টিএস শিবজ্ঞানমের তিরস্কার, ‘পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে এত মামলা! প্রত্যেকের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে আদালতকে ব্যবহার করে হেডলাইনে আসতে চাইছে। দয়া করে আদালতকে মাধ্যম করবেন না।’
প্রসঙ্গত, ৮ জুন পঞ্চায়েত ভোটের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের একের পর এক ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েই চলেছে হাইকোর্টে। কখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী তো কখনও মনোনয়নে হিংসা, কখনও আবার নির্বাচনের দফা বাড়ানোর আর্জি। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। দিনের সংখ্যা না বলে এখন ঘণ্টা ধরে হিসেব করলেও ভুল করা হবে না।
এদিকে সোমবারও বিরোধীরা একাধিক পঞ্চায়েত ভোট সম্পর্কে আর্জি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায় বেশ ক্ষুব্ধ হন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। এদিন একের পর এক মামলা বাতিল করে দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগেও পঞ্চায়েতের মামলার ধাক্কায় অন্য মামলায় সময় দিতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টকে।
এদিকে সোমবারও পঞ্চায়েত নির্বাচন বাতিল করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন জনৈক আইনজীবী। মামলার আর্জি শুনেই তা খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ। ওই মামলায় শুধু ভোট বাতিল নয়, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করারও আর্জি জানানো হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্ট ও সু্প্রিম কোর্টের বিচারপতিদের আগের মামলাগুলিতে পর্যবেক্ষণের উল্লেখ করে এই মামলা খারিজ করা হয়। আগেও দায়ের হওয়া অন্য মামলায় এই পয়েন্টগুলি ইতিমধ্যেই আলোচিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি শাসন জারির জন্য কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট চাওয়ার প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, ৩৫৬ ধারাটি রাষ্ট্রপতির এক্তিয়ারে , তাতে হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করতে পারে না। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত নিয়ে গাদা গাদা মামলায় ইস্যু শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে অনেকে আদালতে আসছেন। আদালতের সময় নষ্ট না করার অনুরোধের সঙ্গে আবার কোথাও গিয়ে এমন মামলা করলে আর্থিক জরিমানা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, এদিন নওশাদ সিদ্দিকি ও অধীর রঞ্জন চৌধুরীর দফা বাড়ানো নিয়ে পৃথক পৃথক মামলাও খারিজ হয়ে যায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে।