কয়লা, গরু পাচার নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড়। এরই মাঝেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে সোনা ও বিদেশি মুদ্রা পাচারও। এতদিন দেশের মধ্যে সোনা পাচারের অন্যতম করিডর হিসেবে পরিচিত ছিল মুম্বই। এবার বাণিজ্য়নগরী মুম্বইকে পিছনে ফেলে এগিয়ে আসছে দমদম বিমানবন্দর। সাম্প্রতিককালে কলকাতায় সোনা এবং বিদেশি মুদ্রা পাচারের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় কপালে ভাঁজ পড়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির। গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দিতে পাচারকারীরা যে সব অভিনব কৌশল বার করেছে, যা দেখে তাজ্জব বনে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় সব এজেন্সির আধিকারিকেরাও।
বিমানবন্দরের আধিকারিকদের থেকে এই সোনা বা বৈদেশিক অর্থ পাচারের যে সব ঘটনা সামনে আসছে তা রুপোলি পর্দার গল্পকেও হার মানায়। এই প্রসঙ্গে বিমানবন্দরের আধিকারিকেরা জানান, কয়েকদিন আগে গোপনসূত্রে খবর পেয়ে ব্যাঙ্ককগামী এক যাত্রীকে আটক করা হয়। তাঁর ব্যাগের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু পটল। দেখা যায়, কয়েক লক্ষ ডলার ভরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেই পটলের মধ্যে। শুধু তাই নয় কিছুদিন আগে গোপন সূত্রে সোনা পাচারের খবর পেয়ে ব্যাঙ্কক থেকে আসা এক যাত্রীকে আটক করে শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা। কিন্তু সোনা খুঁজে পেতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয়েছিল গোয়েন্দাদের। তারপর দীর্ঘ তল্লাশির পর দেখা যায় ওই যাত্রীর বেল্টের বাকলটি সোনার। পাশাপাশি তার কাছে থেকে পাওয়া গিয়েছে চাবির গোছাও। সেখানেও বেশ কিছু সোনার চাবি মিলেছে। এখানেই শেষ নয়, সোনার ক্রেডিট কার্ডও মিলেছিল আটক যাত্রীর কাছ থেকে। সবমিলিয়ে পাচারের এই হরেক অভিনব কপালে ভাঁজ ফেলেছে শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের।
এই প্রসঙ্গে তদন্তকারী আধিকারিকদের ধারনা, যে সমস্ত পাচারের ঘটনা সামনে আসছে, তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। কেন্দ্রীয় এজেন্সি যত বজ্র আঁটুনির ব্যবস্থা করছে, ততই ফাঁক গলে যাওয়ার নতুন নতুন কৌশল উদ্ভাবন করছে পাচারকারীরা। এ পরিস্থিতিতে পাচার আটকানোকে একরকম চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। শুধু তাই নয়, বিমানবন্দরের আধিকারিকদের এও ধারনা,মুম্বইয়ের পাশাপাশি কলকাতাতেও সক্রিয় হচ্ছে বড়সড় পাচার চক্র।