মহাকাশে নয়া উড়ান ভারতের। আগামী ১৩ জুলাই চাঁদে পাড়ি চন্দ্রযান-৩। ওই দিন ২ টোর কিছু পরে চন্দ্রযানটি উৎক্ষেপণ করা হবে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে। এ খবর জানিয়েছেন ভারতের মহাকাশ গবেণষার সংস্থার প্রধান এস সোমনাথ। একইসঙ্গে ইসরো প্রধান এও জানান যে,রাপ আবহাওয়া বা অন্য কোনও কারণে ১৩ জুলাই উৎক্ষেপণ না করা হলে, ১৯ জুলাই পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। এবারের মিশন সফল হবে বলে দাবি করেন তিনি। এর আগে ১২ থেকে ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে চন্দ্রযান-৩-কে চাঁদে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছিলেন ইসরোর চেয়ারম্যান।
একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করা হবে ভারতের সবচেয়ে ভারী লঞ্চ ভেহিকেল থেকে। যার নাম জিএসএলভি-এমকে থ্রি, যা চন্দ্রযান সিরিজের তৃতীয় সংস্করণ। চাঁদের পৃষ্ঠে ল্যান্ড করাই এবারের মিশনের প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন ইসরো প্রধান। মিশনটির জন্য মোট ৬১৫ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলে ইসরো সূত্রে খবর।
সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, এই মিশনে ব্যবহার করা হচ্ছে একটি নতুন প্রযুক্তি। নাম শেপ। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে চাঁদের কক্ষপথ থেকে পৃথিবীর ছবি ও তথ্য পাঠাতে পারবে চন্দ্রযান-৩। এবারের উৎক্ষেপণ যাতে নির্বিঘ্নে করা যায়, তার জন্য দীর্ঘকাল ধরে হয়েছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। উৎক্ষেপনের সময় কী কী অসুবিধা কিংবা ঝুঁকি থাকতে পারে, তাও খতিয়ে দেখা হয়েছে। আগের অভিজ্ঞতা থেকে এবার চন্দ্রযানটির নিরাপত্তার দিকে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
এদিকে এই চন্দ্রযান-৩-এ থাকছে একটি ল্যান্ডার এবং রোভার। চন্দ্রযান-২-তে ল্যান্ডার এবং রোভারে যে নাম দেওয়া হয়েছিল, সেগুলিই থাকছে। ল্যান্ডারের নাম বিক্রম এবং রোভারের নাম প্রজ্ঞান। এর আগে, ২০১৯ সালে চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিল চন্দ্রযান-২। কিন্তু ইসরোর সেই মিশন ব্যর্থ হয়। চন্দ্রপৃষ্টে অবতরণের সময় ভেঙে পড়ে সেটি। সেই ঘটনার ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে নতুন করে সাফল্যের আশায় ইসরোর বিজ্ঞানী। সেদিকে তাকিয়ে আছে গোটা দেশও। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিন চাঁদে চন্দ্রযান পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। লক্ষ্য পূরণ হলে, এই তালিকায় চতুর্থ দেশ হিসেবে স্থান পাবে ভারত। এই মিশনটিক দিকে শুধু ভারত নয়, তাকিয়ে আছে বিশ্বের একাধিক দেশ এবং বৈজ্ঞানিক সংস্থাগুলি। কারণ, চন্দ্রযান-৩ চাঁদে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হলে গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে যেতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।