স্বাস্থ্যভবনে মুখ্যমন্ত্রী, ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধের সঙ্গে ভেঙে দিলেন সব রোগী কল্যাণ সমিতি

অবশেষে স্বাস্থ্য ভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার পঞ্চম দিনে পড়েছে ডাক্তারদের আন্দোলন। সেই আন্দোলন স্থলেই পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার।

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছতেই স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে আন্দোলনের মঞ্চ। ওঠে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানও। তবে আন্দোলনকারীদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানাতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। বলেন, ‘আমাকে বলতে দিলে আমি খুশি হব। আমি আপনাদের আন্দোলনকে সমর্থন করি। আমি ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে আসা লোক।’ এরই পাশাপাশি মমতা এও বলেন, ‘আমি অনেক চিন্তা করি। চিন্তা করেই এসেছি। আমি পাঁচ মিনিট সময় নেব। আমাকে বলতে দিন। আমি অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছি। আমার নিরাপত্তার কথা না ভেবেই নিজে ছুটে এসেছি। কারণ আমি আপনাদের আন্দোলনকে কুর্ণিশ জানাই। আমি নিজে অনেক সাফার করেছি। আমার পোস্টটা বড় কথা নয়। মানুষের পোস্টটাই বড় কথা। কাল সারারাত ঘুমোতে পারিনি। আমারও কষ্ট হয়েছে। আপনারা যেভাবে বসে আছেন, তাতে আমার মানসিকভাবে কষ্ট হচ্ছে। ৩৩-৩৪ দিন আমিও রাতের পর রাত ঘুমোইনি। আপনারা যখন রাস্তায় থাকেন আমাকেও পাহারাদার হিসেবে জেগে থাকতে হয়।’ এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ, ‘আপনারা কাজে যোগ দিন। আমি আপনাদের দাবিগুলো দেখব। আমি একা সরকার চালাই না। আমি অফিসারদের সঙ্গে কথা বলব। আমাকে একটু সময় দিন। আপনাদের প্রতি আমি কোনও অবিচার করব না। কাজে ফিরুন। তিনি বলেন, ‘‘আপনারা নিজেদের মধ্যে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিন কাজে ফিরুন। কথা দিলাম, আপনাদের জন্য কোনও অ্যাকশান নেব না। আমি এসমা জারি করব না নিশ্চিন্তে থাকুন। কোনও ডাক্তারের বিরুদ্ধে  কারুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিরুদ্ধে আমি। আমরা জানি আপনারা অনেক মহৎ কাজ করেন। অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। আপনাদের সব দাবি আমি সহানুভূতির সঙ্গে দেখব, কেউ দোষী হলে সে শাস্তি পাবেই। আমি কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব। আপনাদের পরিবার পরিজন চিন্তা করছে, এই ঝড় জলে আপনারা রয়েছেন।’ সঙ্গে এও জানান, ‘আমি সব হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতিতে অধ্যক্ষদের চেয়ারম্যান করব। জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার, নার্স ও পুলিশ থাকবে তাতে। আরজি কর সহ সব কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিলাম।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 4 =