বেহালায় সাত সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল শিশুর

সাত সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বেহালায় লরির ধাক্কায় মৃত্যু ৫ বছরের শিশুর। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার বাবা। বেহালার চৌরাস্তার কাছে বড়িশা স্কুলের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে শুক্রবার সকালে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। যাওয়ার পথে এক লরির বেপরোয়া গতির বলি হতে হল ওই শিশুকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রে চেহারা নেয় বেহালা। তার জেরে ডায়মন্ড হারবার রোড সহ আশপাশের সবকটি রাস্তাই অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে একের পর এক পুলিশের গাড়িতে। এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়েন বিক্ষোভকারীরা। প্রথমে পুলিশ ভ্যান ও পরে বাইকে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, ভাঙচুর চালানো হয় বাসে। উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে দফায় দফায় লাঠিচার্জ করছে পুলিশ। নামানো হয় র‌্যাফ। কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুড়েও বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি পুলিশ।

এদিকে বেহালা চৌরাস্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এমন একটি দুর্ঘটনায় পুলিশের দিকেই আঙুল তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনার পর পরই স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার মানুষ ও বড়িশা স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা। স্কুলের সামনে পড়ুয়াদের সুরক্ষা কোথায়, এই প্রশ্ন তুলেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, ওই রাস্তায় ট্রাফিকের কোনও নিয়ম মানা হয় না, সে দিকে কোন নজরই নেই পুলিশ। পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধে গাড়ি চালকদের টাকা নেওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগও জানাচ্ছেন তাঁরা। সোজা কথায় তোলা তোলার অভিযোগ সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুলিশ টাকা নেয় বলেই ওই রাস্তা দিয়ে দ্রুতগতিতে বেরিয়ে যায় লরি। তার জেরেই এদিনের এই ঘটনা বলে অভিযোগ। সঙ্গে এ প্রশ্নও উঠে যায়, অন্যান্য সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়েও। তাঁরা বলেন, একদিন নয়, বারবার এমন ঘটনা ঘটছে, তা সত্ত্বেও হুঁশ ফিরছে না পুলিশ প্রশাসনের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − 5 =