এবার পরীক্ষার খাতা দেখা নিয়েও বিতর্ক যাদবপুরে। এই বিতর্ক তৈরি হয়েছে সাংবাদিকতা বিভাগে। সেখানকার পরীক্ষার খাতায় বিস্তর গরমিলের অভিযোগও উঠেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, অভিযোগ উঠেছে সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় সেমেস্টারের কমপক্ষে ৫০ জন পড়ুয়ার খাতাই দেখা হয়নি। মিডিয়া এথিক্স এবং ল’ পেপারের একাধিক খাতা না দেখেই নম্বর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর যে কারণে, একের পর এক পড়ুয়া ওই বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন বলে দাবি। যদিও ঘটনাটি বেশ কিছুদিন আগের হলেও সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে। এরপরই তোলপাড় শুরু হয়। এই ঘটনায় উপাচার্যের কাছে একাধিক ডেপুটেশনও জমা পড়ে ।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়াময় সাত্যকি ভট্টাচার্যের দাবি, ‘ছাত্ররা রিভিউয়ের আবেদন করার পর আমার নজরে আসে। বহু খাতায় কিছু ত্রুটি চোখে পড়ে। এরপর আমি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে বিষয়টি জানাই। বিভাগীয় প্রধানের নজরে আনি।’ এই বিষয়ে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক পার্থসারথি চক্রবর্তী জানান, ‘ঘটনাটি জানতে পেরেছি। গুরুতর অভিযোগ। উপাচার্য নিজে দেখছেন। উপযুক্ত পদক্ষেপ অবশ্যই হবে। ’
বর্তমানে ওই বিভাগের তৃতীয় সেমেস্টারের ছাত্রদের তরফ থেকে জানানো হয়, তাঁরাও বিষয়টি বুঝতে পারিনি। এরপর ঘটনা বিভিন্ন জায়গা থেকে জানতে পারেন তাঁরা। অভিযোগ করা হয়। আর এই ঘটনায় অনেকেই ভুক্তভোগী। যে কারণে অনেকেই সাপ্লি পেয়েছে। এরপই রিভিউয়ের আবেদন করেছি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছেন, বিষয়টি নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করবেন।
সূত্রের দাবি, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে এক অধ্যাপকের নাম। এই প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত এবং রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুও মুখে কুলুপ এঁটেছেন।