জয়শংকরের সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধিতে শুরু বিতর্ক

দেশের বর্তমান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর বিদেশ নীতিতে তাঁর দক্ষতার কারণে বেশ জনপ্রিয়ও বটে। শুধু একজন দেশনেতাই নন, পাশাপাশি তিনি একজন দক্ষ ব্যুরোক্র্যাটও। বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি দায়িত্ব সামলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের। পাশাপাশি কাজ করেছেন বহু দেশের ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে। তবে গোল বেধেছে গত চার বছরে বিদেশমন্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি নিয়ে। আর এতেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

হিসেব য়া বলছে, রাজ্যসভার সাংসদ সদস্য হিসেবে চার বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ হয়েছে জয়শংকরের। চার বছরে বিদেশমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ২৯.৪ শতাংশ। রাজ্যসভা নির্বাচনে গুজরাত থেকে সোমবার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। আগামী অগাস্ট মাসের মধ্যে ফাঁকা হতে চলেছে রাজ্যসভায় ১০টি আসন । ফাঁকা হওয়া আসনগুলির মধ্যে রয়েছে বিদেশমন্ত্রীর আসনও। কয়েকদিন আগে গুজরাত, পশ্চিমবঙ্গ, গোয়ার রাজ্যসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এদিকে নির্বাচন হবে মোট ১০টি আসনে।মনোনয়ন পত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামাতে বিদেশমন্ত্রী তাঁর ২০.০৯ কোটি টাকার সম্পত্তির ঘোষণা করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে দিল্লির দু’টি ফ্ল্যাট। যার মধ্যে যুক্ত হয়েছে বসন্তবিহারের নতুন একটি ফ্ল্যাটও। সিমলায় ১.৫ একরের একটি কৃষি জমি রয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে জমা দেওয়া হলফনামায় বিজেপি নেতা তাঁর ১৫.৫২ কোটি টাকার ব্যক্তিগত সম্পত্তির উল্লেখ করেন। হলফনামায় এও বলা হয়েছে, বেতন ও ভাড়া থেকে আয় জয়শংকরের উপার্জনের প্রাথমিক উৎস। জয়শংকরের স্ত্রী কোয়োকো সোমেকাওয়া জয়শংকর দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও জি এম আর হায়দরাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কনসালট্যান্ট হিসেবে রয়েছেন। এদিকে জয়শংকরের স্ত্রীর ১.১২ লক্ষ টাকার জিএসটি বকেয়া রয়েছে। স্থাবর সম্পত্তি ছাড়াও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণও বেড়েছে জয়শংকরের।

সিঙ্গাপুর, টোকিও এবং ওয়াশিংটন ডিসির একাধিক ব্যাঙ্কে গচ্ছিত সোনাদানা ও টাকা পয়সার পরিমাণ বেড়েছে আগের থেকে। তবে বিদেশে সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে জয়শংকরের স্ত্রীর। ২৯.১২ লাখ থেকে কমে ২০২৩ সালে তা দাঁড়িয়েছে ২৪.১২ লাখ টাকায়। ওয়াশিংটন ডিসি ও টোকিওর ব্যাঙ্কের আমানত রয়েছে জয়শঙ্কের স্ত্রীর। হলফনামায় দেখা গিয়েছে জয়শংকর ও তাঁর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঋণের পরিমাণ কমেছে আগের থেকে। ২০১৯ সালে যা ছিল ৫.২৫ কোটি টাকা, চলতি বছরে তা দাঁড়িয়েছে ১৮.৪৮ লাখ টাকায়। মন্ত্রীর হাতে নগদের পরিমাণও কমেছে আগের থেকে। বর্তমানে মন্ত্রীর হাতে নগদ রয়েছে ৮০ হাজার টাকা। চার বছর আগে যা ছিল ১.২ লক্ষ টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 + thirteen =