পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটের ডিউটি করতে গিয়ে মৃত্যু প্রিসাইডিং অফিসারের

পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটের ডিউটি করতে গিয়ে বুথের মধ্যেই সেরিব্রাল অ্যাটাক।পরে হাসপাতালে মৃত্যু হল প্রিসাইডিং অফিসারের। সূত্রে খবর, রেবতীমোহন বিশ্বাস নামে স্কুল শিক্ষক প্রিসাইডিং অফিসারের ডিউটি করছিলেন নদিয়ার করিমাপুরের একটি বুথে। বুথের মধ্যেই সেরিব্রাল অ্যাটাক হয় তাঁর। এরপর ১২ জুলাই বুধবার হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই প্রিসাইডিং অফিসারের। এরপরই এই প্রিসাইডিং অফিসারের মৃত্যুর দায় নিতে হবে কমিশনকে এমনই দাবি তোলা হল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে।

হাঁসপুকুরিয়া বিদ্যাপীঠের সহকারি শিক্ষক ছিলেন এই রেবতীমোহন বিশ্বাস। ভোটের দিন নদিয়ার করিমপুর ১ নম্বর ব্লকে রিজার্ভ প্রিসাইডিং অফিসার ছিলেন। ডিউটি করার সময় বুথের অন্যান্য কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। বুধবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ রেবতীমোহন বিশ্বাসের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে যে দাবি করা হচ্ছে তা হল, নিরাপত্তাহীনতার কারণেই মৃত্যু হয়েছে প্রিসাইডিং অফিসার রেবতীমোহন বিশ্বাসের। সংগঠনের তরফ থেকে এ হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে যে, প্রয়োজনে তাঁরা আইনি পদক্ষেপ নেবেন। শনিবার ভোটের দিন রাজ্যের একাধিক জেলা রাজনৈতিক হিংসায় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল। অনেক বুথেই নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দাবি, ভোটের দিন ওই বুথেও কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। ওই প্রিসাইডিং অফিসার নিজের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করেন।এদিকে বিডিও নিরাপত্তা ছাড়াই তাঁকে ভোট কেন্দ্রে পাঠান। ফলে নিরাপত্তার অভাব বোধ করেছিলেন ওই শিক্ষক। এরপর পারিপার্শ্বিক চাপ সহ্য করতে না পেরে বুথের মধ্যেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়ে মৃত্যু হয় ওই ভোট কর্মীর।

প্রসঙ্গত এর আগে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজকুমার রায় নামে এক ভোটকর্মীরও মৃত্যু হয়। তিনি উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির দোমোহনা হাইমাদ্রাসার সহ শিক্ষক ছিলেন। ইটাহার ব্লকের সোনাপুর এফপি স্কুলের বুথে প্রিসাইডিং অফিসার করে পাঠানো হয় তাঁকে। সেবার ভোট শুরু হওয়ার পর থেকে আর রাজকুমারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তাঁর ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার হয় রেললাইনের ধার থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − ten =