নির্বাচন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য মানবাধিকার কমিশনের পর্যবেক্ষক প্রয়োজন আছে বলে মনে করছে না আদালত। বুধবার এমনটাই জানানো হয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে চাইলেও রাজ্য নির্বাচন কমিশন তাতে আপত্তি জানায়। এরপর ঘটনা গড়ায় আদালতে। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এই পদক্ষেপ খারিজ করে দিয়েছিল আগেই। এবার ডিভিশন বেঞ্চেও খারিজ হয়ে গেল সেই আর্জি। আদালত চায়, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওপরেই যাতে ভরসা রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চ প্রথমে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশ খারিজ করে দেওয়ার পর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। মঙ্গলবার সব পক্ষের বক্তব্য শোনা হয় হাইকোর্টের তরফ থেকে। তবে রায়দান স্থগিত রাখা হয়। এরপর বুধবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সেই নির্দেশ খারিজ করে দেওয়া হয়, অর্থাৎ সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল থাকছে।
প্রসঙ্গত, ভোট পর্বে মানবাধিকার লংঘন হতে পারে, এই আশঙ্কা প্রকাশ করেই পর্যবেক্ষক নিয়োগের কথা বলেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তবে এভাবে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা যায় কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। কমিশনের বক্তব্য ছিল, খোদ রাজ্যপাল যখন নিজে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন, তখন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রয়োজন নেই। রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।