ক্যান্টিন থেকে শৌচাগার সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। শুধু টেন্ডারের ক্ষেত্রেই নয়, চিকিৎসক বদলির ক্ষেত্রেও ছিল অধ্যক্ষের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ। এবার এই ইস্যুতেই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের দৃষ্টি আকর্ষণ করেলন চিকিৎসক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ। এর পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ভবনকে তদন্ত করার পরামর্শ দিলেও কেন কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না সেই প্রশ্নই তোলা হয় সংগঠনের তরফ থেকে।
রাজ্যপালকে দেওয়া চিঠিতে চিকিৎসক সংগঠনগুলি জানিয়েছে, দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে তথ্যপ্রমাণ রয়েছে প্রকাশ্যে। এরপরও কোনও ব্য়বস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। মূলত এই অভিযোগ জানিয়েছেন আর জি করের প্রাক্তন নন মেডিক্যাল ডেপুটি সুপার আখতার আলি। প্রসঙ্গত, দুর্নীতি দমন শাখা অর্থাৎ অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চ গত সোমবারই এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করতেও বলে স্বাস্থ্য ভবনকে। এই ব্যাপারে স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে চিঠিও দেওয়া হয়। তবে সদর্থক পদক্ষেপ এখনও কিছুই গ্রহণ করা হয়নি বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের সংগঠন।
এদিকে সূত্রে খবর, অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চকে ১৫ দফা অভিযোগ জানিয়েছিলেন আখতার আলি। ক্যাফে, ক্যান্টিন বা সুলভ শৌচালয় থেকে স্বাস্থ্য ভবনের অনুমতি ছাড়া জিনিসপত্র সরানো হয়েছে, টেন্ডার দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব খাটানো হয়েছে বলেও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তিনি। একইসঙ্গে আখতার আলি এ অভিযোগও করেছেন, চিকিৎসকদের বদলির ক্ষেত্রেও হাত থাকত অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগসাজশ করে তিনি বদলির ক্ষেত্রে প্রভাব খাটাতেন।