সায়নীর পাঠানেো নথি অসম্পূর্ণ, এমনটাই জানা যাচ্ছে ইডি-র তরফ থেকে। অনেক কিছুই উল্লেখ করা নেই। এদিকে যতেষ্ট সময় সায়নীকে দেওয়া হয়েছিল বলে মনে করছেন ইডি-র আধিকারিকেরা। প্রসঙ্গত, গত ৫ জুলাই পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক মুখে ইডি-র তরফ থেকে তলব করা হয়েছিল যুব তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষকে। কিন্তু, বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেননি তিনি। তবে সায়নী নির্বাচনী প্রচারের সময় গলসির মাটিতে দাঁড়িয়ে নিজে বলেছিলেন, আইনজীবী মারফত বেশ কিছু নথিপত্র তিনি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকদের কাছে। এদিকে সায়নী ঘনিষ্ট একটি সূত্রের দাবি, এই নির্বাচনের কারণে তিনি সশরীরে হাজিরা দেননি। ভোটপর্বের পর তাঁকে যতবার ডাকা হবে তিনি হাজিরা দিতে রাজি।
এদিকে ইডি সূত্রে খবর মিলছে, সায়নী ঘোষ যে নথি জমা দিয়েছেন তাতে সন্তুষ্ট নয় কেন্দ্রীয় এই তদন্ত সংস্থা। পাশাপাশি ইডি-র তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, যুব তৃণমূল নেত্রীর জমা দেওয়া তথ্য ‘অসম্পূর্ণ’। অন্তত যে নথি হাতে এসেছে তা দেখে এমনটাই সন্দেহ হয়েছে ইডি-র আধিকারিকদের। পাশাপাশি ইডি-র তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে, সায়নী নিজের নামে কেনা ফ্ল্যাটের নথি জমা দিলেও তাঁর মায়ের নামে যে ফ্ল্যাট রয়েছে তার টাকা এবং লেনদেন সম্পর্কিত কোনও তথ্য জমা দেননি। পাশাপাশি ‘কলোনি ল্যান্ড’ বলে একটি সম্পত্তিও বিক্রি করা হয়েছিল এর মধ্যে। সেই সম্পত্তি বিক্রির টাকা লেনদেনের নথিও জমা দেওয়া হয়নি, সূত্রের খবর এমনটাই। আর এখানেই ইডি-র আধিকারিকদের প্রশ্ন, যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছিল সায়নীকে। সেক্ষেত্রেও কেন সম্পূর্ণ তথ্য জমা দেননি তিনি তা নিয়েই।
ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সায়নী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে পাওয়া গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু তথ্য। ভবিষ্যতে এই তথ্য সামনে রেখে সায়নীকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা।
এদিকে বুধবার আইনজীবী মারফত নথিপত্র পাঠানোর পাশাপাশি নিজে একটি চিঠি ই-মেলে পাঠিয়েছিলেন সায়নী ঘোষ। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, অন্যান্য নথি তিনি পরে জমা দেবেন। যদিও এই বিষয়ে সায়নী বা এনফরেসমেন্ট ডিরেক্টেরেটের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি। তবে সায়নী ঘোষের এই ‘অসম্পূর্ণ’ নথি জমা দেওয়া নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ১১ ঘণ্টারও বেশি ইডি আধিকারিকেরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন যুব তৃণমূলের সভানেত্রীকে। সেই দিনই তাঁকে বেশ কিছু নথি সমেত ৫ তারিখ হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বুধবার তাঁকে পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে ভোট প্রচারে দেখা যায়। তবে সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই প্রায় শতাধিক পাতার নথি তিনি ইডি দপ্তরে পাঠিয়েছেন। পাশাপাশি কেন ভোটের মুখে তলব করা হল সায়নীকে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এর আগেও তিনি ‘এজেন্সি রাজনীতি’ নিয়ে তোপ দেগেছিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও এই যাবতীয় দাবি উড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।