নিকাশি খাল সংস্কারের জেরেই বর্ষায় জল নেমেছে দ্রুত, দাবি কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগের

বর্ষার সময় শহরের জমা জল যাতে তাড়াতাড়ি বের হয়, সে জন্য নিকাশি খালগুলি সংস্কারের কাজে চলতি বছরের শুরু থেকেই হাত দিয়েছিল সেচ দপ্তর। এরই পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালাও জোরকদমে সংস্কারের কাজও হয়। আর তার জেরেই নাকি মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত হওয়া বৃষ্টির জল সরে গিয়েছে মাত্র ৪ ঘণ্টাতেই এমনটাই দাবি কলকাতার পুরসভার নিকাশি বিভাগের। তবে শহরের বাসিন্দারা কিন্তু একেবারে অন্য কথা বলছেন। তাঁদের বক্তব্য, যে বৃষ্টি হয়েছে তাকে ভারী বৃষ্টিপাত বলা যায় না। ভারী বৃষ্টি হলে কাজ বাস্তবে কতটা হয়েছে তা বোঝা যাবে।

এদিকে কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, বুধবার সকাল থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত গড়ে ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে শহরে। টানা বৃষ্টির জেরে এদিন জলমগ্ন হয়ে পড়ে ঠনঠনিয়া, মুক্তারাম বাবু স্ট্রিট, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, শরৎ বসু রোড, বেহালার বিভিন্ন এলাকায়। তবে বিকেল চারটের মধ্যে শহরে জমা জলের ৮৫ শতাংশ নামিয়ে দেওয়া সম্ভব হয় বলে দাবি করছেন কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগের কর্তারা। এই প্রসঙ্গে পুরসভার নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং জানান,’ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালাগুলি ঠিকমতো সাফাই করা, নিকাশি খাল সংস্কার এবং পাম্পিং স্টেশনের ক্ষমতা বাড়ানোর ফলেই দ্রুত জল নামানো সম্ভব হয়েছে।’

এই প্রসঙ্গে নিকাশি বিভাগের তরফ থেকে এ তথ্যও মেলে, চলতি বছরের শুরু থেকেই ম্যানহোল থেকে পলি তোলার জন্য ১৪৪টি ডিসেলন্টিং মেশিন এবং ম্যানহোলের মধ্যবর্তী নালা থেকে থেকে ময়লা বের করার জন্য ৫০টি আধুনিক মেশিনকে কাজে লাগানো হয়েছে। এছাড়াও, ১২-১৩টি জেট কাম সাকশন মেশিন কাজ করছে নিয়মিত। যার জেরে ভূগভর্গস্থ নিকাশি নালা পুরোপুরি সাফাই করা হয়েছে। খুব ভারী বৃষ্টি না হলে জল জমার সমস্যা শহরে হবে না বলেই মনে করছেন নিকাশি বিভাগের আধিকারিকেরা।

তবে সমস্যা থেকেই যাচ্ছে কলকাতার সংযোজিত এলাকায়। যার মধ্যে পড়ছে বেহালার কিছু অংশ। যেখানে এখনও আধুনিক নিকাশি ব্যবস্থা বলতে কিছুই গড়ে ওঠেনি। তবে তা তৈরি হচ্ছে, এমন আশ্বাসও মিলেছে কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে। আধুনিক নিকাশি ব্য়বস্থা যতদিন না তৈরি হবে ততদিন বেহালার একটা বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষকে যে জল যন্ত্রণা সইতে হবে তা মেনে নিয়েছেন নিকাশি বিভাগের আধিকারিকেরাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − 10 =