হিরো মোটোকর্পের চেয়ারম্যানের বাড়িতে অভিযান ইডি-র

মানি-লন্ডারিংয়ের অভিযোগে হিরো মোটোকর্প সংস্থার চেয়ারম্যান পবন মুঞ্জাল-সহ শীর্ষকর্তাদের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান চালাল ইডি। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের আওতায় দিল্লি ও গুরগাঁওয়ে চেয়ারম্যান পবন মুঞ্জালের বাড়িতে মঙ্গলবার তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি, এমনাটই ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছে। ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই) এর অভিযোগের পরে এই তদন্ত চালানো হয়েছে বলেই ইডির তরফ থেকে জানানো হয়। তবে ইডি-র এই অভিযান বড়সড় ধাক্কা হিরো মোটোকর্পের জন্য। এর আগে হিরো মোটোকর্পের বিরুদ্ধে ছিল বিস্ফোরক অভিযোগ। সূত্রের খবর, হিরো মোটোকর্পের বিরুদ্ধে শেল কোম্পানিগুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। কোম্পানির রেজিস্ট্রার কর্তৃক একটি তদন্তের পর মনে করা হয়, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির বিষয় নিয়ে একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের প্রয়োজন। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, শেল কোম্পানি আসলে ভুয়ো কোম্পানি। এই কোম্পানিগুলোর অস্তিত্ব খাতায় কলমে থাকলেও বাস্তবে তা হয় না। এগুলো মূলত আর্থিক তছরুপের অভিযোগে সামনে আসে। তবে শেল কোম্পানি কিন্তু সবসময় অবৈধ নাও হতে পারে। এদিকে ইডি -র তল্লাশি অভিযানের পরেই রেকর্ড পতন হয় হিরো মোটোকর্পের শেয়ারে। স্টকটি এদিন ৩২২৪ টাকা থেকে দৌড় শুরু করে, ৩০৩২ টাকাতে গিয়ে নামে। অর্থাৎ প্রায় ২০০ টাকা কমেছে শেয়ারের দাম। মঙ্গলবার দুপুরে কোম্পানির শেয়ার ৪.২৬ শতাংশ পর্যন্ত নেমে গিয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে শেয়ার দর আরও কিছুটা বাড়ে। কিন্তু এই তল্লাশি অভিযানের ফলে হিরো মোটোকর্পের শেয়ার গত ৫ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে চলে যায়। যদিও এক মাসের ব্যবধানে স্টকটিতে এখনও ৭.০৪ শতাংশের লাভ রয়েছে। পাশাপাশি গত ৬ মাসের ব্যবধানে স্টকটি ১৩ শতাংশের বেশি রিটার্ন দিয়েছে।

এছাড়াও হিরো মোটো কর্পের রয়েছে অনন্য রেকর্ড। এক ক্যালেন্ডার বছরে বিক্রি হওয়া ইউনিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০১ সালে বিশ্বের বৃহত্তম টু -হুইলার প্রস্তুতকারক ছিল হিরো মোটোকর্প। তারপর থেকে টানা ২০ বছর কোম্পানি এই শীর্ষস্থান নিজেদের দখলেই রেখেছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 + 11 =