নিম্নচাপের জেরে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হবে বুধবারেও

উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সুগভীর নিম্নচাপ বাংলাদেশের কাছে খেরাপাড়া দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশের পরেও তার শক্তিক্ষয় হয়নি। আইএমডি-র সাম্প্রতিক ওয়েদার আপডেট অনুসারে বুধবার সকালেও এই গভীর নিম্নচাপ কলকাতার ১২০ কিমি দূরে অবস্থান করছে। এদিকে এই নিম্নচাপ বাংলাদেশ থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে বিস্তৃত৷ তবে ধীরে ধীরে এই নিম্নচাপ শক্তি হারিয়ে গভীর থেকে দুর্বল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে  আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে এটি এগিয়ে যাবে। এই নিম্নচাপ যখন শক্তিশালী অবস্থায় থাকবে তখন ৫৫ থেকে ৬৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে হাওয়া বয়ে যাবে। এই নিম্নচাপ প্রথম স্থলভাগে আঘাত হানার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ৭৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা ছিল৷ তবে মৌসম ভবনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে,  বুধবারও কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে দিনের বিভিন্ন সময়ে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হবে। এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩২ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.২ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি এবং বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯৭ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৭০ শতাংশ।

এদিকে মৌসম ভবন সূত্রে খবর, মৌসুমি অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে হিমালয়ের পাদদেশ সংলগ্ন এলাকায়। যার বিস্তৃতি গোরক্ষপুর, পটনা, শ্রীনিকেতন, ক্যানিং দিয়ে। এদিকে এটি গভীর নিম্নচাপের সঙ্গে যুক্ত। এরফলে ৩ জুলাই পর্য়ন্ত মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে৷পাশাপাশি হিমালয় পাদদেশ সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গেও বৃষ্টি হবে। বিক্ষিপ্তভাবে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে৷ এই নিম্নচাপের জেরে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর সন্নিহিত এলাকায় মৎসজীবীদের মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে আরও একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ১২ ঘণ্টায় তা ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি করবে। বাংলাদেশের কুয়াকাটা এলাকায় এই ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − 6 =