প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার বাজেয়াপ্ত হল কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও অয়ন শীলের সম্পত্তি। এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট সূত্রে খবর, শুধুমাত্র কুন্তল, শান্তনু ও অয়নের ১৫ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। একইসঙ্গে এও জানানো হয়েছে, তিনজনের ক্ষেত্রেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা, শেয়ারে বিনিয়োগ করা টাকা, জমি ফ্ল্যাট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বেশ কয়েক মাস ধরে এই তিনজন জেলবন্দি থাকলেও এতদিন পর্যন্ত কারও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেনি কেন্দ্রীয় সংস্থা।
এর আগে এই মামলাতেই বাজেয়াপ্ত হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে থাকা বিপুল সম্পত্তি। এবার সেই তালিকা আরও দীর্ঘ হল। এই দুর্নীতি মামলায় এখনও পর্যন্ত মোট ১২৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক তথা প্রাথমিক পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য ও অর্পিতার কাছ থেকে ১১১ কোটি টাকা পেয়েছিল ইডি। তদন্ত এগোলে এমন আরও অনেক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হতে পারে বলেও মনে করছে ইডি।
এদিকে শুক্রবার নবম-দশমের নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার নামও উল্লেখ করল আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এই মামলায় এটাই প্রথম সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট। সেই সঙ্গে নাম রয়েছে সুব্রত সামন্তর নাম। দুর্নীতি দমন আইনের পাশাপাশি প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ ও রয়েছে ওই দুজনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে জমা পড়েছে সেই রিপোর্ট।