লোকসভা নির্বাচনের ঢাকে পড়ল কাঠি, কলকাতায় আসছেন কমিশন কর্তা নীতিশ ব্যস

পঞ্চায়েত ভোট মিটতে না মিটতেই নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে আরও এক কর্মযজ্ঞের সূচনা হতে চলেছে। আর এই কর্মযজ্ঞের মধ্যে দিয়েই  ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের ঢাকে পড়ল কাঠি। এদিকে লোকসভা নির্বাচনের এই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশন কর্তা নীতিশ ব্যস বঙ্গে আসবেন অগাস্টের শেষে বা সেপ্টেম্বরের শুরুতে। সূত্রে খবর, অন্যবারের তুলনায় লোকসভার প্রস্তুতি অনেকটা আগেই শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশন।

আপাতত নির্বাচন কমিশন সূত্রে যে খবর মিলছে তাতে ২২ জুলাই জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচন অফিসারদের প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে। সেই শিবিরে থাকবেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (ইলেকশন), থাকবেন ওসি (ইভিএম)। দক্ষিণ কলকাতার একটি হোটেলে এই প্রশিক্ষণ হবে। প্রশিক্ষণ দেবেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) এবং দপ্তরের অন্য আধিকারিকরা। থাকবেন ইভিএমের প্রস্তুতকারক সংস্থা ইসিআইএল-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকেরাও। সঙ্গে থাকার কথা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের টেকনিক্যাল বিষয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তদেরও। আর থাকবেন কমিশনের সচিব বিসি পাত্র।

আাপতত পশ্চিমবঙ্গকে তিনটি জোনে ভাগ করে অতিরিক্ত জেলাশাসক (নির্বাচন), ওসি (নির্বাচন)- দের প্রশিক্ষণ হবে আগামী ১৮ থেকে ২০ জুলাই। ১৮ জুলাই শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির। ১৯ জুলাই কলকাতায় দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া, হাওড়া এবং কলকাতার দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রশিক্ষণ। ২০ জুলাই দুর্গাপুরে বাকিজেলা গুলির প্রশিক্ষণ।

এরপর ২২ জুলাই সকাল দশটা থেকে শুরু হবে জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচন অফিসারদের প্রশিক্ষণ। এই প্রশিক্ষণ শিবিরের প্রথম ভাগে থাকবে ইভিএম সংক্রান্ত ওয়ার্কশপ। দ্বিতীয় পর্বে থাকবে ভোটার তালিকা নিখুঁত করার বিষয়টি। সঙ্গে থাকবে ভোট প্রস্তুতির নানা খুঁটিনাটি বিষয়। এরপর ১ অগাস্ট থেকে রাজ্যে শুরু হতে ইভিএম পরীক্ষার কাজ। যার আনুষ্ঠানিক নাম ‘ফার্স্ট লেভেল অফ চেকিং’ বা ‘এফএলসি’। যা গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভোটের সঙ্গে জড়িত নানা বিষয়কে পাঁচটি থিমে ভাগ করেছে কমিশন। সেই থিম নিয়ে ইতিমধ্যেই স্টেট লেভেল মাস্টার ট্রেনার-এর প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে গিয়েছে। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলের কারণে সেই প্রশিক্ষণ কিছুটা পিছিয়ে বলে খবর। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ খবরও মিলেছে, স্টেট লেভেল মাস্টার ট্রেনারাই জেলা, মহকুমা কিংবা ব্লক স্তরের আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ দেবেন। স্টেট লেভেল মাস্টার ট্রেনার হন অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমা শাসক বা ওই পদ মর্যাদা সম্পন্ন কোন সিনিয়র আধিকারিক।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × one =