বুধবার হাইকোর্টের নির্দেশের পর আরও সক্রিয় হয়ে উঠল রাজ্য নির্বাচনকমিশন। পঞ্চায়েত প্রস্তুতিতে ফাঁক না রাখতে আরও নিখুঁত পদক্ষেপ করতে চায় কমিশন। আর সই লক্ষ্যেই দ্রুত ২২ জেলার জেলাশাসকদের থেকে পঞ্চায়েত প্রস্তুতির বিষদ তথ্য চেয়ে পাঠানো হয় নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। এখনও পর্যন্ত কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে ও ভোটের আগে কী কী পদক্ষেপ করা হবে, জেলাগুলোর তরফে তারই বিস্তারিত তথ্য তলব করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে অন্তত সূত্রে এমনটাই খবর।
সূত্রে এও জানা গেছে, হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ দেখিয়ে এই তথ্য তলব করা হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। পাশপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হাইকোর্ট যে কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট চেয়েছে তারও রিপোর্ট জেলাগুলোর থেকেও চাইল কমিশন। এদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ এর পর বৃহস্পতিবার সকালেই কমিশনে এসে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। তারপরেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহা নির্দেশ পাঠান প্রতিটি জেলায়।
এদিকে রাজ্য নির্বাচনের হাতে বর্তমানে রয়েছে ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ গত বুধবারই জেলায় জেলায় প্রয়োজন অনুযায়ী তা মোতায়েনও করা হয়। কমিশনের তরফে জেলা প্রশাসনের কাছে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে এই বাহিনী প্রয়োজন ও পরিস্থিতি বুঝে ঠিকমতো ব্যবহার করা হয়৷ সূত্রের খবর, বাহিনী মোতায়েন এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় ও ক্যানিংয়ে।
এর পাশাপাশি পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই গন্ডগোল, অশান্তির অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের অভিযোগ যেমন একদিন থেকে উঠে এসেছে, তেমনই প্রশাসনিক দিক থেকেও যাঁরা দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁদের গাফিলতির বিষয়টিও ক্রমশ প্রকট হতে শুরু করেছে। যেমন মিনাখাঁর তৃণমূল প্রার্থী কীভাবে সৌদি আরবে গিয়েও মনোয়ন জমা দিতে পারলেন ব্লক অফিসে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শুধু এই একটি ঘটনাই নয়, আরও একাধিক ক্ষেত্রে মনোনয়ন ঘিরে গাফিলতির অভিযোগ উঠে এসেছে। এবার শেষ পর্যন্ত কড়া ব্যবস্থার পথে রাজ্য নির্বাচন কমিশন । কমিশন সূত্রে খবর, একাধিক জেলার বিডিওদের বিরুদ্ধে এবার পদক্ষেপ করা হতে পারে। ভাঙড় ও মিনাখাঁর বিডিওদের শোকজ় করা হতে পারে বলেও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা সরাসরি কোনও এলাকার নাম উল্লেখ না করে বুঝিয়ে দেন,কমিশন পদক্ষেপ করতে পারে। বলেন, যাঁদের ক্ষেত্রে ভুল ধরা পড়েছে এবং প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে সেই ভুল অসাবধানতাবশত নয়। ফলে তাঁদের বিরুদ্ধে কমিশন ব্যবস্থা নেবে।