‘শনিবার প্রহসনের নির্বাচন হতে চলেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে নৈরাজ্যের পশ্চিমবঙ্গ লোকে দেখতে পাবে।’ শুক্রবার কলকাতায় এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে শনিবার পঞ্চায়েত ভোটে যাতে সাধারণ মানুষ গণতন্ত্র রক্ষার জন্য রুখে দাঁড়ান, সেই বার্তাও দেন তিনি। রাজ্যবাসীর উদ্দেশে শুভেন্দুর বার্তা, ‘শনিবার তৃণমূল ছাড়া সবাই মিলে মিশে একাকার হয়ে গিয়ে যেখানে পারবেন, যতটা পারবেন গণতন্ত্র রক্ষা করুন।’
এরই পাশাপাশি তিনি এও মনে করেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন একেবারে ভয়মুক্ত পরিবেশে হওয়া কার্যত অসম্ভব এক দফায় ভোট হওয়ার বদলে যদি অন্তত তিন দফায় ভোট করানো যেত, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তা সামলে দিতে পারতেন বলেও মনে করেন শুভেন্দু।
এদিন বিকেলে কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু এও বলেন, ‘পঞ্চায়েতের মধু খাওয়ার জন্য প্রাণ বিসর্জন দিতে আমি বলব না। কিন্তু পঞ্চায়েতের মধু বাদ দিলেও, গ্রামীণ এলাকায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বহু জায়গায় প্রতিরোধ হবে। এই প্রতিরোধই পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রকে বাঁচানোর শেষ আশা ও ভরসা।’ আর এই গণতন্ত্র রক্ষার জন্য মানুষকে লড়াইয়ের বার্তা দিতে গিয়ে এদিন এও বলেন, যেভাবে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছিল, সেই ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তবে ভোটের ঠিক আগের দিন তৃণমূল ছাড়া সবাইকে মিলে মিশে একাকার হয়ে যাওয়ার পিছনে কী বার্তা দিতে চাইলেন শুভেন্দু তা নিয়ে বেশ জল্পনা তৈরি হয়েছে বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে। এ প্রশ্নও উঠেছে, তাহলে তিনি কি তৃণমূল বিরোধী সবাইকে অর্থাৎ বিরোধী দলগুলিকে এককাট্টা হওয়ার বার্তা দিলেন? তবে এই ইস্যুতে বিরোধী দলনেতা জানান, এমন কোনও বার্তা তিনি দিচ্ছেন না। শুভেন্দুর বক্তব্য, যেহেতু ভোটের প্রচার পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে, তাই কোনও নির্দিষ্ট প্রতীকের পক্ষে ভোটের জন্য তিনি বলতে পারেন না। এরই রেশ ধরে তিনি বলেন, ‘যারা লুঠ করতে চায়, তারা বাদ দিয়ে বাকি ভোটাররা জোট বাঁধুন। প্রার্থী, এজেন্ট কোন দলের দেখার দরকার নেই। যাঁরা লুঠ আটকাতে চান, তাঁরাই মানবপ্রাচীর তৈরি করুন। মানুষের গণপ্রতিরোধ তৈরি হোক। এই আবেদন করতে চাই।’