ইএসআই হাসপাতালে তদন্তে কলকাতা পুলিশের ফরেন্সিক দল

শর্ট সার্কিট থেকেই শিয়ালদহ ইএসআই হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করছেন দমকল কর্মীরা। যদিও পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরেই আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট কোনও তথ্য দেওয়া সম্ভব বলে জানান রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। এদিকে সূত্রে খবর, শুক্রবার পৌনে ১২টা নাগাদ ওই হাসপাতালে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। খতিয়ে দেখেন হাসপাতালের সার্বিক পরিস্থিতি। এরপরই কলকাতা পুলিশের শীর্ষকর্তা জানান, ‘শিয়ালদহ ইএসআই হাসপাতালে পুলিশের একটি ফরেন্সিক টিম আসবে। কী কারণে আগুন লাগে তারা খতিয়ে দেখবে। অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা সঠিকভাবে কাজ করছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে।’

এদিকে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক শিয়ালদহ ইএসআই পরিদর্শন করার পর জানান, ‘যে জায়গায় আগুন লেগেছে তা যাতে দ্রুত সংস্কার করা যায় সেই জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’  এই ঘটনার পরই শুক্রবার বেলা ১২টা থেকে ইএসআই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসেছেন তিনি। এই বৈঠকেই হাসপাতালের অগ্নিদগ্ধ অংশটি সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

শিয়ালদহ হাসপাতালের সুপার অদিতি দাসও জানান, ‘প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে শর্ট সার্কিটের জন্যই আগুন লাগে। দমকল দফতর গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।’ ৮০ জন রোগীকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৪৮ জন রোগীকে মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এই অগ্নিকাণ্ডে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে উত্তম বর্মন নামে এক রোগীর। তাঁর পরিবারের দাবি এমনই। তিনি শিয়ালদহ ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতাল সুপার অদিতি দাস জানান, ওই ব্যক্তি ফোর্থ স্টেজ ক্যান্সার রোগী ছিলেন। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও বক্তব্য দেওয়া হয়নি। মৃত ক্যান্সার রোগীর দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে বলেও জানান কলকাতার পুলিশ কমিশনার। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর কারণ সামনে আসবে বলে জানান মনোজ ভার্মা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 10 =