উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্য-রাজভবনের এক সংঘাতের আবহের মাঝেই বড় পদক্ষেপ রাজভবনের। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে বসানো হল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য পদে। এর পাশাপাশি রাজ্যপাল একটি ‘পিস অ্যান্ড সোশ্যাল ইন্টিগ্রেশন’ যে কমিটি গঠন করেছেন তারও চেয়ারম্যান করা হয়েছে এই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পাশ করেন তিনি। এর পাশাপাশি ইতিহাসেও স্নাতকোত্তর করেছেন। আইনজ্ঞ হিসেবে পারিবারিক ইতিহাসও রয়েছে তাঁর। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় হলেন তাঁর পরিবারের ষষ্ঠ প্রজন্মের আইনজীবী। শুধু তাই নয়, তিনি অতীতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিও ছিলেন। পরবর্তীকে কর্নাটক হাইকোর্টে চলে যান। উল্লেখ্য, অবসর নেওয়ার পরবর্তী সময়ে শিক্ষাক্ষেত্রের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে তাঁকে। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি তাঁকে সাবিত্রীবাই ফুলে পুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাছাইয়ের সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান পদে বসিয়েছিলেন। এবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেলেন তিনি। এদিকে যে কমিটি রাজ্যপাল গঠন করেছেন, সেই কমিটির অন্যতম প্রধান কাজ হল শিক্ষাঙ্গনের ভিতরে সংহতির উপর নজর রাখা।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনওটিতেই স্থায়ী উপাচার্য না থাকা নিয়ে কিছুদিন আগেই কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে বসেছিলেন শিক্ষাবিদদের একাংশ। সেখানে ওমপ্রকাশ মিশ্র থেকে শুরু করে গৌতম পাল-সহ আরও অনেক শিক্ষাবিদ উপস্থিত ছিলেন। রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোস সম্প্রতি যে ১৩ জনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্মের দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছিলেন, তা নিয়েই মূলত আপত্তি ওমপ্রকাশদের। তাঁদের বক্তব্য, যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁরা কেউই আসলে উপাচার্য নন, তাঁরা অধ্যাপক। তাঁরা আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম চালিয়ে দিচ্ছেন। এমন অবস্থায় রাজ্যের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়েই যে স্থায়ী উপাচার্য নেই, এবং তার ফলে যে এক অচলাবস্থা তৈরি হচ্ছে, সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তাঁরা। এদিকে যাঁরা কলকাতা প্রেস ক্লাবে সেদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন, তাঁরা কোনও না কোনও সময়ে কোনও না কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন।