ফের দুই বাসের রেষারেষি। আর তারই জেরে মঙ্গলবার দুপুরে ঘটে গেল পথ দুর্ঘটনা। যাতে প্রাণ গেল চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুল পড়ুযার। মৃত শিশুর নাম আয়ুস পাইক। সে কেষ্টপুরের একটি বেসরকারি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। আশঙ্কাজনক আরও দু’জন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বেপরোয়া গতিতে রেষারেষি করছিল ২১৫এ নম্বর রুটের দু’টি বাস। সেই সময় জোরে ধাক্কা মারে একটি স্কুটিতে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই পড়ুয়ার। এর এর আগে বেহালায় লরি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছিল প্রথম শ্রেণির এক পড়ুয়ার। তারপর সম্প্রতি বাঁশদ্রোণীতে পে লোডারের ধাক্কায় মৃত্যু হয় নবম শ্রেণির ছাত্রর। অভিযোগ উঠছিল পুলিশি নজরদারির। সল্টলেকের ঘটনাও আরও একবার সেই প্রশ্ন উস্কে দিল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার স্কুল ছুটির পর আয়ুষের দুই ভাইকে নিয়ে কেষ্টপুর থেকে স্কুটি চালিয়ে ফিরছিলেন তাঁদের মা।সেই সময় দুটি বাস রেষারেষি করতে গিয়ে ধাক্কা মারে স্কুটিতে।তারই প্রতিঘাতে ছিটকে পড়েন মা সহ দুই সন্তান। ঘটনাস্থলেই আয়ুষের মৃত্যু হয়।আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আয়ুষের মা ও ভাই।
এই ঘটনার পর ক্ষিপ্ত জনতা রাস্তা অবরোধ করেন। পুলিশি নজরদারির গাফিলতি তুলে সরব হন তাঁরা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ বাহিনী। এদিকে এলাকাবাসীর দাবি, যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে সিভিক ভলান্টিয়াররা কোনও কাজ করেন না। বসে বসে ফোন দেখেন। সঠিকভাবে গাড়ি চলাচল হচ্ছে কি না তা তাঁরা দেখেন না। প্রত্যক্ষদর্শীরা এদিন এও জানান, ‘বাস যখন ধাক্কা মেরেছে সেই সময় তখন কোনও পুলিশ ওদের উদ্ধারে আসেনি। যেখানে পুলিশের কর্তব্য ছিল একটা অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা।’