রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেল কলকাতা হাইকোর্টকে। আইএসএফ প্রার্থীদের মনোনয়ন ইস্যুতে যে মামলা করা হয়েছিল তার শুনানিতে বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। শুধু তাই নয়, এদিন কমিশনের ভূমিকায় বিস্ময় প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে কমিশনের জবাব তলব করা হয় হাইকোর্টের তরফ থেকে। এদিন বিচারপতি সিনহা কমিশনের উদ্দেশে ক্ষোভের সঙ্গে বিস্ময় প্রকাশ করে জানান, ‘কমিশনে পঞ্চায়েত ভোটের নামে জানি না কী হচ্ছে এসব! নির্বাচন প্রক্রিয়া কি এখনও চলছে! নির্বাচন কমিশন নির্ঘন্ট মেনে ভোট চলছে এখনও, জানতে চাই কমিশনের কাছ থেকে।‘ এরই রেশ ধরে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘নির্বাচন কমিশনার আছেন এখনও? কমিশনে পঞ্চায়েত ভোটের নামে জানি না কী হচ্ছে এসব! ভোট হচ্ছে না হচ্ছে না?’ এরপরই জানান, ‘প্রশ্নের সঠিক উত্তর চাই কমিশনের থেকে। দুপুর ২টোয় কমিশন এসে জানাক।’
অন্যদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ হাওড়ার উলুবেড়ি ১ নম্বর ব্লকের বিডিও-র বিরুদ্ধে কারচুপি করে মনোনয়ন বাতিলের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সিপিএমের দুই মহিলা প্রার্থী। অভিযোগকারী দুই সিপিএম প্রার্থীর নাম ওমজা বিবি এবং কাশ্মীরা বিবি। বহিরা গ্রাম পঞ্চায়েত ও ধুসিমালি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন এই দুই মহিলা প্রার্থী। তাঁদের অভিযোগ, যথাযথ ভাবে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পরেও ইচ্ছাকৃত ভাবে বিডিও বা রিটার্নিং অফিসার কারচুপি করে তাঁদের মনোনয়ন বাতিল করে দিয়েছেন। এরপর ওই দুই মহিলা প্রার্থী এ নিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলেও তা গ্রহণ করেননি ওই আধিকারিক। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আগামী ৭ জুলাইয়ের মধ্যে সিবিআইকে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। এদিকে আগামী ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন।