কোমরের ব্যথায় উঠতে না পারলে……..

দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলে, উঠে দাঁড়াতে কষ্ট হয় অনেকেরই। এছাড়াও পিঠে নীচের অংশে বা কোমরে ব্যথাতেও ভুগছেন ১৮ থেকে ৮০ অনেকেই। আজকাল লোয়ার ব্যাক পেইন খুব সাধারণ সমস্যা হয়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষের জীবনে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই লাম্ব্যাগো, অর্থাৎ কোমরের নীচের অংশে যন্ত্রণা। চিকিৎসার পরিভাষায় মেরুদণ্ডের নীচের অংশ, পিঠের নীচের অংশ, নিতম্বের মাঝখানে এবং পাঁজরের নীচের অংশের ব্যথাকে লাম্ব্যাগো বলা হয়। এই ধরনের ব্যথা-যন্ত্রণার প্রধান কারণ হোক, পেশিতে টান ধরা। এক ঘণ্টা বা বেশি সময় ধরে যদি এক জায়গায় বসে থাকেন, তাহলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ঘুমনোর সময় এই ধরনের ব্যথা বাড়তে থাকে। তাই বিছানায় শুয়েও খুব একটা আরাম মেলে না। আর এই ব্যথার তীব্রতা এতটাই বেশি হয় যে, ভারী জিনিস তুলতে, নড়াচড়া করতেও সমস্যা হয়।

এই ব্যাক পেইনের বিভিন্ন কারণ আছে। কোনও অস্ত্রপচারের কারণে আপনি লোয়ার ব্যাক পেইনে ভুগতে পারেন। এছাড়াও আপনি যদি সঠিক ভাবে আকারে না বসেন, তাহলেও আপনার কোমরে ব্যথা হতে শুরু করে। আবার যদি আর্থ্রাইটিসের সমস্যা থাকে, তাহলে এই ধরনের ব্যথা-যন্ত্রণা হওয়াটা স্বাভাবিক। অনেক সময় কিডনিতে স্টোন ও সংক্রমণ, ব্লাডারে সংক্রমণ বা মূত্রনালিতে সংক্রমণ হলে কোমরে ব্যথা হয়।

যাঁরা দীর্ঘক্ষণ করে এক জায়গায় বসে থাকেন বা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন না, তাঁদের মধ্যে লোয়ার ব্যাক পেইনের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। এছাড়া যাঁরা অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল মেনে চলেন, তাঁদের মধ্যেও এই ধরনের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।

লোয়ার ব্যাক পেইন এড়াতে গেলে ফিটনেসের উপর জোর দিতে হবে। হাঁটা, যোগাসন, সাঁতার কাটার মতো শরীরচর্চা রোজ করতে হবে। পেশির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করলে এই ধরনের ব্যথা-যন্ত্রণা কমবে। পাশাপাশি শারীরিক ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে হবে। এড়িয়ে চলতে হবে মদ্যপান ও ধূমপান।

লোয়ার ব্যাক পেইনে এড়াতে গেলে মানসিক স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখতে হবে। মানসিক চাপ, ডিপ্রেশনের সম্মুখীন হলে এই ধরনের লোয়ার ব্যাক পেইনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই এসব বিষয় এড়ালে আপনি লোয়ার ব্যাক পেইন থেকে মুক্তি পাবেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও যদি ব্যথা না কমে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা ছাড়া উপায় নেই। কারণ ভিটামিন ডি, প্রোটিন, ক্যালসিয়ামের মতো পুষ্টি অভাবও শারীরিক ব্যথা-যন্ত্রণা ডেকে আনে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সাপ্লিমেন্টের প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × two =