রাজারহাটে সক্রিয় গাছ কাটার বেআইনি চক্র, জানেন না পুর প্রতিনিধি

টানা দশ দিন। রাজারহাটে রমরমিয়ে বেআইনি কাজ চালাচ্ছিল ওরা। পরে খবর যায় পুলিশে। সঙ্গে সঙ্গে উধাও বেআইনি ব্যবসাকারীরা। এদিকে সূত্রে খবর মিলছিল, একের পর এক গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে রাজারহাট থেকে। অভিযোগ, প্রায় দেড়শো গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এরপর সেই ঘটনার খবর যায় রাজারহাট থানার পুলিশের কাছে। ঘটনাস্থলে আসে রাজারহাট থানার পুলিশ। তাদের দেখে চম্পট দেয় গাছ কাটার কর্মীরা।

জানা যাচ্ছে, রাজারহাটের পাথরঘাটা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কালিকাপুর এলাকা। সেখানে প্রায় তিন বিঘা জমির উপর এক এক করে দেড়শো গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। পুলিশ আসতেই ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে দড়ি,কোদাল,ইলেকট্রিক কাটার সহ গাছ কাটার সরঞ্জাম। কে বা কারা কেন এভাবে গাছ কাটছে তা জানতে তদন্তে নেমেছে রাজারহাট থানার পুলিশ। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এলাকাবাসীদেরও।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা পঞ্চায়েত প্রধান পিঙ্কি মণ্ডল জানান, ‘এই গাছ কাটার খবর জানতাম না। আমি শোনার পরই সদস্যেদের জানাই। আর আমাদের পঞ্চায়েতের তো কোনও গাছ কাটার অনুমতিই নেই। আমাদের কাজ হচ্ছে গাছ লাগানোর। পঞ্চায়েত কোনও অনুমতি দেয়নি গাছ কাটার। শুনেছি যে ওরা নাকি নিজেদের গাছ নিজেরা কাটছে। সত্যি বলতে আমি পুজো নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আজই শুনলাম।’

তবে এ ব্যাপারে মুখি কুলুপ স্থানীয় বাসিন্দাদের। পরে অবশ্য তাঁরা জানান, এখানে পাথরঘাটা পঞ্চায়েতের ইন্ধন রয়েছে। অভিযোগের তির উঠেছে পঞ্চায়েত সদস্য কাঞ্চন মণ্ডলের ছেলে আশিস মণ্ডলের দিকেও। তবে তাঁরা এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − three =