আইপিএল ফাইনালে চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে ছিলেন বিসিসিআইয়ের শীর্ষ স্থানীয় ব্য়ক্তিরা। বোর্ড সভাপতি রজার বিনি থেকে সচিব জয় শাহ। রজার-জয়ই শ্রেয়স আইয়ারদের হাতে আইপিএল ট্রফি তুলে দেন। এসব পর্ব মিটে যাওয়ার পর একটি ঘটনা নিয়েই সবচেয়ে বেশি জল্পনা হয়, তা হল জয়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ গম্ভীরের কথোপকথন। এরপরেই জল্পনা বাড়ে গম্ভীরের পরবর্তী ভারতীয় হেড কোচ হওয়া নিয়ে। সেই আলোচনা থেকে একটি কথাই বাইরে এসেছে। ‘দেশ কে লিয়ে করনা হ্য়ায়’! অর্থাৎ দেশের জন্য় করতে হবে। এই কথা জয় না গম্ভীর বলেছেন, তা এখনও জানা যায়নি।
এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই প্রথমসারির এক স্পোর্টস ওয়েবসাইটের রিপোর্ট বলছে যে ,গৌতম গম্ভীরই ভারতের পরবর্তী কোচ। রোহিত শর্মাদের মাথায় বসছেন কেকেআর মেন্টর। সেই পোর্টালে এও লেখা হয়, ‘আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির অত্য়ন্ত হাই-প্রোফাইল মালিক বিসিসিআই-এর টপ বসদের খুবই কাছের। ভারতীয় দলের পরবর্তী কোচ হিসেবে গৌতম গম্ভীরের নিয়োগ প্রায় ‘ডিল ডান’ বলা যেতে পারে। দ্রুত ঘোষণা হবে। ‘ যদিও কোনও সরকারি বিবৃতি এই প্রসঙ্গে আসেনি এখনও। মনে করা হচ্ছে গম্ভীর ও বিসিসিআইয়ের মধ্য়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমঝোতা চলছে। অন্য়দের সঙ্গেও কথা হচ্ছে। আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ শেষ হলেই দ্রাবিড় ও তাঁর সাপোর্ট স্টাফদের মেয়াদ শেষ হবে।
এই প্রসঙ্গে একটা কথা বলতেই হয়, দেশের জোড়া বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন ওপেনার কখনও কোচিং করাননি কোনও আন্তর্জাতিক দলকে। এমনকী ঘরোয়া ক্রিকেটেও নেই কোচ হওয়ার অভিজ্ঞতা। তবে লখনউ সুপার জায়েন্টসের মেন্টর হিসেবে দু’বারই দলকে তুলেছেন প্লেঅফে। আর এবার তো কেকেআরের দায়িত্ব নিয়েই জেতালেন ট্রফি। ভারতীয় দলের বহু ক্রিকেটারের সঙ্গেই গম্ভীরের সম্পর্ক দুর্দান্ত। ভারত এই বছরের শেষের দিকে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। আগামী বছর রয়েছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য়ও লড়বে ভারত। তিন ফরম্য়াটে বিশ্বের অন্য়তম সেরা দলের কোচ হওয়া মোটেই সহজ নয়। প্রত্য়াশার চাপ থাকবে গগনচুম্বি। ২০২৭ সাল পর্যন্ত কোচের রাতের ঘুম উড়বে। ফলে অনেকে এই কঠিন চ্য়ালেঞ্জ নিতেও ভাবছেন বারবার।