বেহালা চৌরাস্তায় লরির ধাক্কায় শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় দ্বিতীয় শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া সৌরনীলের। এই ঘটনার পরই ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তা আটকে প্রতিবাদের পাশাপাশি পুলিশের গাড়িতেও ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুদ্ধ জনতা। জনতার ছোড়া ইটে মাথা ফাটে উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারের। এই ঘটনাতেই ঘাতক লরির চালক ও খালাসিকে শুক্রবারই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। শনিবার তাঁদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছে। পুলিশের উপর হামলার ঘটনাতেও ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদেরও শনিবার আদালতে আনা হয়। আদালতে তোলা হলে কান্নায় ভেঙে পড়েন গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের লোকেরা।
পুলিশের উপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় বেহালা থানা এলাকা থেকে ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঠাকুরপুকুর থানা থেকে গ্রেফতার হয়েছেন ১১ জন। পুলিশ নিরাপরাধ লোকেদেরও ধরে এনেছে অভিযোগ উঠেছে। ধৃতদের কয়েক জনের পরিবারের লোকেদের দাবি, তাঁদের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে শুক্রবারের বিক্ষোভ বা ভাঙচুরের ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই। সে সময় তাঁরা ওখান দিয়ে কাজের জায়গায় বা অন্য গন্তব্য যাচ্ছিলেন। পুলিশ হাতের কাছে পেয়ে তাঁদের গ্রেফতার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ তুলেই গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের লোকেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
অন্য দিকে দুর্ঘটনায় মৃত পড়ুয়া সৌরনীলের বেহালা শীলপাড়া নবপল্লির বাড়িতে গিয়েছিলেন মালা রায় ও স্থানীয় বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে বিধায়ককে খেদোক্তির সুরে বলতে শোনা যায়, ‘ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর আমরা নড়েচড়ে বসি। এই জায়গায় বেশ কয়েকটি স্কুল থাকার জন্য যখন ছুটি হয় বা যখন স্কুল শুরু হয় তখন অনেক বাচ্চা এক জায়গায় হয়ে যায়। আমার মনে হয় সেই সময়টা ট্র্যাফিকের পুলিশের সংখ্যা অবশ্যই বাড়ানো উচিত।’ এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানান তিনি।