প্রতি বছর, বিশ্বে ৪ মার্চ আন্তর্জাতিক এইচপিভি সচেতনতা দিবস পালন করা হয়। এই দিনটিতে হিন্দি চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুর সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার উদ্যোগ ‘আইপিলেজ টু প্রিভেন্ট’-এর সহযোগিতায় হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি) সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে এসেছেন এক বিরাট ভূমিকায়। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, আন্তর্জাতিক এইচপিভি সচেতনতা দিবস ২০২৪-এর আগে, জানভি এই রোগের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘বাওয়াল’ তৈরি করেছিলেন। এই বছরের একটি অতিরিক্ত দিন-লিপ ডে-লাভ করে জানভি তার প্রথম স্ট্যান্ড-আপ স্পেশাল, ‘লিপ, লাফ অ্যান্ড লার্ন’ দিয়ে হাসির মাধ্যমে এইচপিভির কারণ এবং ঝুঁকি সম্পর্কে দর্শকদের বিশেষ কিছু তথ্যের মাধ্যমে শিক্ষা দিয়ে তাঁধের জ্ঞানভাণ্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলেন।
লিপ, লাফ অ্যান্ড লার্ন-এর মাধ্যমে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার এই পদক্ষেপ সম্পর্কে জাহ্নবী কাপুর জানান, ‘একজন অভিনেত্রী হিসাবে, আমি বিশ্বাস করি সমাজে প্রকৃত পরিবর্তন আনতে আইপিলেজ টু প্রিভেন্ট-এর মতো উদ্যোগকে সমর্থন করা অপরিহার্য। কারণ, এইচপিভি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এমন একটি ইস্যু যা সার্ভিকাল ক্যান্সার সহ জীবন-হুমকির কারণ হতে পারে। তবুও, এইচপিভির সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে। এই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য, আমরা আমার প্রথম স্ট্যান্ড-আপ স্পেশাল দিয়ে হাসির মাধ্যমে এইচপিভি সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার ধারণা নিয়ে এসেছি। লিপ, লাফ অ্যান্ড লার্ন-এর মাধ্যমে, আমরা ব্যক্তিদের তাদের স্বাস্থ্যের জন্য কী গুরুত্বপূর্ণ-যেমন এইচপিভি সচেতনতার দিকে মনোনিবেশ করার জন্য এই লিপ বছরের সেই অতিরিক্ত একটি দিন ব্যয় করতে উত্সাহিত করার লক্ষ্য রাখি। আমার ফ্যানদের সমর্থনে, আমি এটিকে প্রতিরোধ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, কারণ জ্ঞানই এইচপিভির বিরুদ্ধে আমাদের সর্বোত্তম সুরক্ষা দিকে পারে। আমিও আশাবাদী যে তাঁরাও আমার সঙ্গে এইচপিভি সচেতনতার দিকে এগিয়ে যাবেন।’