জামিনের আবেদন গ্রাহ্য হল না বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার। জীবনকৃষ্ণ সাহাকে ২৫ অগাস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুর সিবিআই স্পেশাল আদালত।এদিন আদালতে ঢোকার সময় চাকরিপ্রার্থীদের হুমকি নিয়ে বিধায়ককে প্রশ্ন করা বলে জীবনকৃষ্ণ সাহা পাল্টা প্রশ্ন করে জানতে চান, ‘চাকরির ঘটনা কত সালের? ২০১৬ সালের। তখন কি আমি ছিলাম? আমি কোনও হুমকি দিইনি।’ এরই রেশ টেনে তাঁর দাবি, এসব ভুল কথা। কোনও প্রমাণ নেই। কারণ, তিনি ২০২১ সালের আগে কোনও পদেই ছিলেন না, এমনটাই দাবি জীবনকৃষ্ণের।পাশাপাশি এও জানান, ২০১৯-এর আগে তিনি ছিলেন একজন আম নাগরিক। এদিন জীবনকৃষ্ণ আদালতে বলেন, তাঁর কোনও চিকিৎসা হচ্ছে না। তাঁকে আদালতে আসতে হলে ওষুধ খেয়ে আসতে হয়। যে কোনও উপায়ে তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। এদিন জীবনকৃষ্ণের আইনজীবী এসএসকেএমের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন। দাবি করেন, এসএসকেএমে গেলে চিকিৎসকরা খারাপ ব্যবহার করেন। কোনও চিকিৎসা হয় না। এরই রেশ ধরে শুক্রবার আদালতে সওয়াল-জবাব পর্বে জীবনকৃষ্ণ সাহার আইনজীবী এও জানান, ‘মেডিক্যাল নিয়ে যা হচ্ছে। এসএসকেএম হাসপাতালে প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দিয়ে বলে বাইরে থেকে ওষুধ কিনে নিন। এসএসকেএমে আমাদের চিকিৎসা হবে না। জোকা ইএসআইয়ে চিকিৎসা হোক বা কেন্দ্রীয় কোনও হাসপাতালে হোক চিকিৎসা।’
একইসঙ্গে জীবনকৃষ্ণের আইনজীবী আদালতে এও জানান, তাঁর মক্কেলের হাঁটুতে জ্বালা করছে। ওষুধ খেয়ে আসতে হচ্ছে। এদিকে পাবলিক প্রসিকিউটর এই জামিনের বিরোধিতা করেন। সবদিক বিচার বিবেচনা করে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।