তৃণমূল কার্যালয় সহ অবিলম্বে সব দখলদারি সরানোর নির্দেশ বিচারপতি সিনহার

জাতীয় সড়কের জন্য নেওয়া জমি দখল করে তৈরি হয়েছে পাকা বিল্ডিং এদিকে এই  অভিযোগ সামনে আসার পরও এই পাকা বিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে কোনও ধরনের পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ পূর্ত দফতর। সূত্রে খবর, একটি দখল করা জমিতে রয়েছে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ও। এই অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে। অবিলম্বে সব দখলদারি সরানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের মাটিয়া থানায় এলাকার কাকড়া মউজার বাসিন্দা এক ব্যক্তি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁর বাড়ির সামনেই পূর্ত দফতরের রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য জমি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই জমিতে এখন বহু পাকা বিল্ডিং তৈরি করে তা দখল করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় তাঁর বাড়িতে ঢোকার রাস্তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে বারবার আবেদন করেও কাজ না হওয়ায় তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বসিরহাটের পূর্ত দফতরের তরফে হাইকোর্টে রিপোর্টে জমা দেওয়া হয়, সেখানে অভিযোগের সত্যতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেই রিপোর্টেই জানানো হয়েছে, ওই দখলদারদের মধ্যে তৃণমূলের দলীয় অফিসও রয়েছে। ওই রিপোর্ট দেখার পরই এদিন বিচারপতি সিনহা স্পষ্ট জানান, তৃণমূলের পার্টি অফিস সহ যাবতীয় বেআইনি দখলদারকে উচ্ছেদ করতে হবে। আর তা করতে হবে আগামী ১২ সপ্তাহের মধ্যে। এই ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসককে নির্দেশও দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − 3 =