আদালত থেকে বেরনোর পর সোমবার প্রিজন ভ্যানে বসে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রকে বলতে শোনা যায়, সরকার তাঁকে ফাঁসাচ্ছে। তিনি ধর্ষণ খুন করেননি। এই বক্তব্য সামনে আসার পর খুব স্বাভাবিক ভাবেই একাধিক প্রশ্ন উঠে এসেছে। সিভিক ভলান্টিয়রের অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ খোলেন বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও। তিনি বলেন, ‘এত বড় গভীর চক্রান্ত করতে সময় লাগতে পারে। আশা করব সিবিআই সমাধান করবে। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়র মুখ খুলেছে। আমি প্রথম দিন থেকে বলেছি এই ঘটনায় একা ও জড়িত নেই। সিবিআইকে সত্য সামনে আনতে হবেই।’ এরপর বিকাশ রঞ্জনকে পাল্টা দিতে মঙ্গলবার নিজের সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
সামাজিক মাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘যাঁরা বলছিলেন কলকাতা পুলিশ নয়, সিবিআই চাই এবং হাইকোর্ট সিবিআই দিতে যাঁরা তুমুল লম্ফঝম্ফ করে আগুনঝরা বিবৃতি দিয়েছিলেন এখন তাঁরাই সেই সিবিআই–এর বদলে সঞ্জয় রাইপন্থী হয়ে উঠলেন। আর এখানেই কুণালের প্রশ্ন এর পিছনে আদতে কোন উদ্দেশ্য রয়েছে তা নিয়েও। সঙ্গে বিরোধীদের বিদ্ধ করে এও বলেন, ‘আপনারা সিবিআই চেয়েছিলেন, সিবিআই যাবতীয় তদন্ত করে দেখেছে ধর্ষণ ও খুনে কলকাতা পুলিশের গ্রেপ্তারি সঠিক ছিল। আপনারা বহু পক্ষ সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই তদন্ত মনিটর করছে।’
এখানেইশেষনয, সঙ্গে তিনি এ প্রশ্নও তোলেন, ‘তারপরেও আপনারা সিবিআই তদন্তে আস্থা না রেখে নিজেদের ইচ্ছেমত কল্পকাহিনি দিয়ে বাজার গরম করছেন। তাহলে সিবিআই তদন্ত চেয়েছিলেন কেন? কারা আবার বলছেন, বিপুল তহবিলের দখল রাখতে জটিলতা, প্রতিবাদ, আন্দোলনের জলঘোলা চালাতে হবে। ঠিক জানি না। তবে বিচার, শাস্তি আমরা সবাই চাই। কিন্তু সিবিআই ডেকে এনে তারপর তাদের তদন্তও আপনাদের না মানার কারণ কী?’
প্রসঙ্গত, ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়র সঞ্জয় রাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু প্রথম থেকেই আন্দোলনকারী তথা চিকিৎসকদের তরফে দাবি উঠছিল, এই ঘটনায় একজন নয়, একাধিক জন জড়িত। পরে আদালতের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআই–এরহাতে।ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রকেই চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসাবে দেখানো হয়।এরপর চার্জশিট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন আন্দোলনকারীরা।কিন্তু প্রথম থেকেই আন্দোলনকারীদের দাবি ও আন্দোলনকে কটাক্ষ করছিলেন কুণাল ঘোষ।