ইডি-র উত্তরে খুশি নয় লালবাজার, তলব কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিককে

‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ কোম্পানিতে ফাইল ডাউনলোড সংক্রান্ত বিষয়ে কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের মধ্যে চিঠি চালাচালি অব্যাহত। কলকাতা পুলিশের সিপিকে এই নিয়ে আগেই চিঠি পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু সেই চিঠিতে সন্তুষ্ট নয় লালবাজার। এরপরই যথাযথ ব্যাখা চেয়ে সশরীরে তলব ইডি আধিকারিককে। কেন ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্সে’-র কম্পিউটারে ফাইল ডাউনলোড করেছেন ইডি আধিকারিক সেই ব্যাখা জানতেই এই তলব বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর। যদিও, ইডি-র তরফ থেকে বলা হয়েছে তারা এই বিষয়ে আগেই নগরপালকে বিস্তারিত জানিয়েছে। কেন ফাইল ডাউনলোড হয়েছিল, কী পরিস্থিতিতে হয়েছিল সেই সমস্ত ব্যাখা দেওয়া হয়েছে। এরপরেও যখন লালবাজারের তরফ থেকে ইডি আধিকারিককে ডেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয় তখন ইডির তরফে স্পষ্ট জানানো হয় তাদের কোনও আধিকারিক লালবাজার যাবেন না। এই ব্য়াখ্যাতেই লালবাজার সন্তুষ্ট হয়নি। কলকাতা পুলিশের দাবি, ইডি আধিকারিককে এসে পুলিশের সামনে বিষটি বিস্তারিত জানাতে হবে। একতরফা একটি চিঠি দিয়ে দিলে মীমাংসা হয় না।

প্রসঙ্গত, এই ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ২১ এবং ২২ অগাস্ট। আলিপুরে লিপস অ্যান্ড বাউন্সের অফিসে ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি চালাতে যান। এরপর ২৫ অগাস্ট ওই কোম্পানির হিসাবরক্ষক চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন তদন্ত চালাকালীন কোম্পানির একটি ফাইলে ইডি আধিকারিক ১৬টি এক্সেল ফাইল ডাউনলোড করে দিয়ে গিয়েছেন। এই ফাইলগুলি কোনও ভাবেই লিপস অ্যান্ড বাউন্সের নয়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই ঘটনার আগের দিনই মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে তালা ভেঙে ঢুকছেন। তারা কিছু রেখে আসছে কি না কে জানে। এই সন্দেহ প্রকাশের পরের দিনই সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।

এদিকে এই প্রসঙ্গে সোমবারও তৃণমূল ছাত্র যুবর মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফাইল ডাউনলোডের এই বিষয় সম্পর্কে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। মমতা বলেন, ‘অভিষেকের কম্পিউটার থেকে সব ফাইল বের করে নিয়েছে। তারপর নিজেরা কতগুলি ফাইল তৈরি করে নিয়ে গিয়েছে। আর সেগুলো ওখানে ভরে দিয়েছে। তোমরা যদি কম্পিউটার ওস্তাদ হও। তাহলে আমরাও মাস্টার। আমরা সব বের করে নিয়েছি একেবারে টাইম ধরে, যে এগুলো তোমরা ঢুকিয়েছ। ওদের কম্পিউটারে এগুলো ছিল না।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × one =