সিপি বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ চেয়ে বামেদের লালবাজার অভিযান। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ধর্মতলা থেকে শুরু সোমবারের এই মিছিলের সামনের সারিতে ছিলেন মহিলারা। ছিলেন সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ। এই তালিকায় ছিলেন মহম্মদ সেলিম, সূর্যকান্ত মিশ্র, সুজন চক্রবর্তী, দীপ্সিতা ধর ও মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা। একইসঙ্গে ছিলেন অসংখ্য কর্মী সমর্থকও।
আর জি কর কাণ্ডে প্রমাণ লোপাট, তদন্তে বেনিয়মে প্রশ্ন তুলছে সুপ্রিম কোর্টও। ৯ অগাস্ট ঘটনার দিন থেকে ১৩ আগস্ট, কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের রায়ের দিন পর্যন্ত, তদন্তের দায়িত্ব ছিল কলকাতা পুলিশেরই। কমিশনারের পদ থেকে বিনীত ঘোয়েলের দাবি ওঠে সব দিকেই। দাবি ওঠে বিচারের।
সোমবার লালবাজারে ঢোকার আগে আগেই ৯ ফুট উঁচু ব্যারিকেড লাগিয়ে দেয় পুলিশ। বাম কর্মীরা সেই ব্যারিকেডের উপরে উঠে পড়েন হাতে লাল পতাকা নিয়ে।ব্যারিকেডের উপরে প্ল্যাকার্ড লাগিয়ে দেন। চলতে থাকে স্লোগান। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বাম কর্মী সমর্থকরা। পুলিশি গার্ডরেল ভেঙে দেন। এমনকী, ব্যারিকেডের ফাঁক দিয়ে পুলিশের উদ্দেশ্যে বার্তা দিতে থাকেন। অন্যদিকে, প্রস্তুত পুলিশও। জলকামান, কাঁদানে গ্যাস নিয়ে তৈরি ছিল তাঁরা।
ওদিকে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের সামনে থেকে সিপিআই(এম) ১৪ কর্মীকে আটক করে পুলিশ। সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ঘোষণা করেন যে ধৃতদের ছাড়া না পর্যন্ত অবস্থান চলবে। মহম্মদ সেলিম এদিন এও বলেন, ‘উনি অপরাধীদের দমন করার বদলে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ কমিশনারকে এই কারণেই রেখেছেন যাতে এখানে স্বর্গরাজ্য হয়।’ অবস্থানে অংশ নেন পার্টি পলিট ব্যুরো সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্রও। সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আজ মিথ্যা কথা বলেছেন। পুলিশ ওনার কথায় প্রমাণ লোপাট করছে। পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ডিজি করতে চান উনি। আজ বলেছে উৎসবে ফিরুন, উনি টের পেয়েছেন মানুষ এবার মন দিয়ে ফিরবেন না উৎসবে। মানুষ উৎসবে নিরাপত্তা চান। পুজো কে কেন্দ্র করে তাঁরা সুরক্ষা চান। বাংলার মেয়েরা নিরাপত্তা চায়। এই দাবিতে লড়াই চলবে। গোটা বাংলা বিচারের দাবি তুলেছে, তাই মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। বিনীত গোয়েলের অপসারণের দাবি জানিয়ে মুখ্য সচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন সিপিআই(এম) কলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদক কল্লোল মজুমদার।
এদিন, ব্যারিকেডের সামনেই অবস্থান বিক্ষোভে বসে থাকতে দেখা যায় মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ চোদ্দজন বাম কর্মীকে আটক করেছে। তাঁদের যতক্ষণ না ছাড়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বস্থান বিক্ষোভ চলবে। যদিও, কিছুক্ষণ পর পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়।