আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ হল বামফ্রন্টের তরফ থেকে। তৃণমূল-বিজেপিকে একসঙ্গে বিদ্ধ করে বামেদের ইস্তাহারে উঠে এসেছে, ‘সব পেটে ভাত, সব হাতে কাজ’ এর কথা। সঙ্গে বার্তা ‘তৃণমূল বিজেপি দূর করো, লুঠতরাজ বন্ধ করো, জনগণের পঞ্চায়েত গড়ো।’
গত বিধানসভা নির্বাচনকে পিছনে ফেলে এবার আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম সভার হাত ধরে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে বামেরা। সেই লক্ষ্যে নির্বাচনের আগে ‘গ্রাম চলো’র ডাকও দেওয়া হয়। তবে মনোনয়নের সময় একাধিক জায়গায় বাধার সঙ্গে হুমকি শুনলেও আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামেরা বড় চ্যালেঞ্জ যে এবার দেবে শাসকদলকে সে ব্যাপারে নিশ্চিত বাম নেতৃত্ব।
বামেদের ইস্তাহারে মূলত তুলে ধরা হয়েছে, রাজ্যে আইনের পুনঃ প্রতিষ্ঠা, অঙ্গনওয়াড়ি, আশা কর্মীদের অধিকার আদায়, প্রতি গ্রামে পানীয় জল সরবরাহ, উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা, স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়ন, মিড ডে মিল, পঠনপাঠনে বিশেষজ্ঞের মতামত, গ্রামে খামার পাঠশালা, ১০০ দিনের বদলে ২০০ বা ৩০০ দিনের কাজের সঠিক ব্যবস্থা করা, লোকায়ত সংস্কৃতি সংরক্ষণ, রাস্তাঘাট উন্নয়নের কথা।
এখানে একটা পরিসংখ্যান দিয়ে রাখা জরুরি। এবারের ত্রিস্তর নির্বাচনে সিপিএম মোট ৪৮৬৪৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এছাড়াও বাম শরিকরা আরও প্রায় হাজার দুয়েক প্রার্থী দিয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত, সমিতি, জেলা পরিষদের আসনে। তবে গতবারের প্রার্থী সংখ্যার থেকে এবার বামেদের প্রার্থী সংখ্যা অনেকটাই বেশি। সেটাই আশার আলো বামেদের কাছে। শুধু তাই নয়, ২০২৩-এ অনেক জায়গাতেই মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এলে লাঠিসোটা নিয়ে রুখে দাঁড়াতে দেখা যায় বাম কর্মী-সমর্থকদের। মনোনয়ন জমা গত বারের তুলনায় বেশি হলেও লড়াইয়ের ময়দানে শাসকদের পায়ের তলার মাটিতে কতটা কাঁপন ধরাতে পারে এখন সেটাই দেখার।