মঙ্গলবার পাঁচ বছর পর বিদেশ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে দুবাই, তারপর মাদ্রিদ, তারপর বার্সেলোনা। সেখান থেকে আবার দুবাই হয়ে কলকাতা ফেরার কথা তাঁর। মঙ্গলবার সেই সফর শুরুর আগে মমতার গলায় কিন্তু শোনা গেল উৎকণ্ঠা। তিনি যতদিন থাকছেন না তার মধ্যে কিছু হতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করেন তিনি। এদিন সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই তিনি জানান, ‘স্পেনের কোথায়, কোন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর তিনি বলেন, “আপনারা সবাই ভাল থাকবেন। সবাইকে দেখে রাখবেন। অনুরোধ থাকল।’ নিজের সফরসূচি ঘোষণার পাশাপাশি তিনি প্রশাসনিক স্তরে সবাইকে সবার নিজের নিজের কাজ করতে হবে বলেও জানান। সঙ্গে এও দাবি করেন, সবাইকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন এও জানান, যাওয়ার আগে বৃষ্টি নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন তিনি। এছাড়া স্বরাষ্ট্র সচিব সেক্রেটারি, ডিজি, এডিজি আইন-শৃঙ্খলা, কলকাতার পুলিশ কমিশনার সহ সবাইকে ডেকে সবার কাজ বুঝিয়ে দিয়েছেন বলেও জানান তিনি। তাঁর অনুপস্থিতিতে কোনও মন্ত্রী বা মন্ত্রীবর্গকে দায়িত্বে দিয়ে যাওয়া হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সবাই সবার কাজ করবেন। মুখ্যসচিব আমার সঙ্গে যাচ্ছেন, তাই স্বরাষ্ট্র সচিব সবটা দেখবেন। অর্থাৎ কাউকে আলাদ করে দায়িত্ব দিচ্ছেন না।
বিরোধীদের দাবি, কোনও এক আশঙ্কা থেকেই কাউকে দায়িত্ব দিয়ে যাচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের ছায়াকেও ভয় পাচ্ছেন তিনি। সেই প্রশ্নই তুলে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানান,’ এত ভয় যে কাউকে অ্যাক্টিং করে গেলেন না। কাউকে দায়িত্ব দিয়ে গেলেন না। সাহস পেলেন না।’ এই প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন সামনে আনেন জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর অনুপস্থিতিতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দায়িত্ব দিয়ে যাওয়ার কথাও। তার আগে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হত। দেশে না থাকলে কাউকে দায়িত্ব দিয়ে যেতে হয়। এটাই পদ্ধতি। সুজন চক্রবর্তীর কথায়, ‘ছায়াকে ভয় পেলে যা হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই দশা আর কি!’