মণিপুর সরকারের কাছে মণিপুর নিয়ে বিশদ স্ট্যাটাস রিপোর্ট তলব শীর্ষ আদালতের। আদালত সূত্রে খবর, আগামী ১০ তারিখে পরবর্তী শুনানি। তবে তার আগেই ওই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। সোমবারই একটি মামলার শুনানির সময়ে এই স্ট্যাটাস রিপোর্ট তলব করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিমা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চ। সেখানে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি এবং পুনর্বাসন নিশ্চিত করা নিয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে ‘আপডেটেড স্ট্যাটাস রিপোর্ট’ ৭ তারিখের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মণিপুর সরকারকে।
এদিকে এদিন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টে জানান, মনিপুরে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। ৩৫৫টি ত্রাণ শিবির রয়েছে এবং বিভিন্ন স্তরে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। তিনি জানান, ১১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াও মণিপুরে আরও নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি এও জানান, বিভিন্ন এলাকায় মাত্র পাঁচ ঘণ্টার কারফিউ থাকছে।
উল্লেখ্য, মণিপুরে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে অবরোধ তোলার কথা জানান কুকিরা। একই সঙ্গে ইম্ফল পশ্চিম জেলায় আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হওয়ার কারণে সেখানে কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। তবে এদিনই কাংপোকপি এলাকায় গুলি চললে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। আগের দিনেই বিষ্ণুপুর জেলার এলাকায় গুলিতে অন্তত তিনজন মারা যান।
প্রসঙ্গত, মণিপুরে মেইটিরা তফসিলি উপজাতির তকমা দাবি করে। অন্যদিকে এর বিরোধিতা করেন কুকি উপজাতিরা। মেইটিদের এসটি করা নিয়ে মণিপুর হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালঞ্জ করে একটি মামলাও হয়। একই সঙ্গে মণিপুর ট্রাইবাল ফোরাম কুকিদের নিরাপত্তা চেয়ে একটি মামলা করে। এই দুটি মামলার শুনানি করবে সুপ্রিম কোর্টের ওই বেঞ্চ।
এদিকে মণিপুরের এই সংঘর্ষকে জাতি দাঙ্গা বলে উল্লেখ করেন কুকিদের আইনজীবী কলিন গঞ্জালভেজ। তবে এই মতের বিরোধিতা করেন সিলিসিটর জেনারেল। গঞ্জালভেজের দাবি, বিচ্ছিন্নতাবাদীরা প্রকাশ্যেই কুকিদের শেষ করে দেওয়া কথা বলছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, কুকিদের বিরুদ্ধে এই হিংসা সরকারে মদতপুষ্ট। যদিও মণিপুরের সরকারের তরফে জানানো হয়েছে সেখানে হিংসা শেষ করে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে।