লেকটাউনে দমকল কর্মী স্নেহাশিস রায়কে গুলি করে খুনের ঘটনায় বিধাননগর কমিশনারেটের জালেআরও দুই। ধৃতদের নাম সাগর হালদার এবং অন্যজন তন্ময় পাল ওরফে রাহুল। উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলা থানা এলাকা থেকে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, এর মধ্যে সাগর হালদার হলেন এই ঘটনার মূল চক্রী। এই ঘটনায় আগে আগে যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তার মধ্যে আকাশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একেবারে সমস্ত তথ্য সামনে আসে। এরপরেই শনিবার রাতে বিধাননগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ এবং লেকটাউন থানার পুলিশ এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
ধৃতদের জেরা করে এ তথ্যও মেলে যে, এই ঘটনা ঘটানোর জন্য সুপারি কিলার অর্থাৎ শুটার সুপারি কিলারকে দেওয়া হয়েছিল এক লক্ষ টাকা। তন্ময় পাল ওরফে রাহুল সুপারি কিলারদের সাথে যোগাযোগ করেছিল। খুন করার বিষয় নিয়ে এবং গোটা খুনের পরিকল্পনায় মূল ভূমিকা ছিল সাগরের। সাগর হালদারের ক্রাইম রেকর্ড রয়েছে। এর আগে তিনটি খুনে অভিযুক্ত এই সাগর। পাশাপাশি এও জানা গেছে, কখনও তিনি সোদপুর,কখনও বা ঘোলা কখনও বা লেকটাউন এলাকায় থাকতেন, এমনটাই পুলিশ জানতে পেরেছে।
একইসঙ্গে লেকটাউন থানার তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের জেরে এই খুনের কারণ সম্পর্কে যে ঘটনা সামনে আসছে তা হল ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরেই এই খুন। একদিকে লটারির ব্যবসা অন্যদিকে বালি পাথরের ব্যবসা ছিল সাগর হালদারের। সাগর এবং স্নেহাশিস এই দুজনেই ব্যবসা পায়র্টনারও ছিলেন। আরও একটি বিষয় পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে যে, এই খুনের ঘটনায় মহিলা সংক্রান্ত কোনও বিষয় রয়েছে কিনা তাও।