নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন ভাতারের বিধায়ক। আদতে নিত্য ভোগান্তি-কষ্ট বোঝাতে বিধায়ককে কাদায় হাঁটালেন গ্রামবাসীরা। একইসঙ্গে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ, ‘ভোট আসে, আমরা ভোটও দিই। কিন্তু, রাস্তা কই?’ শনিবার সকালে ভাতারের নিত্যনন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালুত্তকে পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী আব্দুল রউফের সমর্থনে প্রচারে বার হয়েছিলেন ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। প্রচার শুরু করতেই গ্রামবাসীরা প্রার্থী ও বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এবং তাঁদের ভোগান্তির কথাও জানান। তখনই গ্রামবাসীদের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় প্রার্থীকে। এরপর নিজেদের ভোগান্তির উপলব্ধি যাতে বিধায়কেরও হয় সেই জন্য তাঁকে কাদা রাস্তায় হাঁটতে বলা হয়।
এই ঘটনায় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে গ্রামের রাস্তার হাল খারাপ। বিভিন্ন স্তরে বলেও কোনও সুরাহা হয়নি। এদিনের এই ঘটনা প্রসঙ্গে গ্রামের বাসিন্দারা জানান, ‘বিধায়ক এসেছিলেন ভোট চাইতে। কিন্তু, সেই সময় রাস্তার সমস্যা তুলে ধরেছিলাম। বাম জামানায় কিছু কাজ হয়েছিল। কিন্তু, তৃণমূল জামানায় রাস্তা আরও খারাপ হয়েছে। কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।’ অপর এক বাসিন্দার অভিযোগ, ‘আমাদের বাড়ির প্রবীণরা বাড়ি থেকে বার হতে পারেন না। ছেলে মেয়েরা স্কুলে যেতে পারে না। ২০১১ সালের পর থেকে কোনও কাজ হয়নি। তাই জোর করে বিধায়ককে রাস্তায় হাঁটিয়েছি আমরা।’
এই ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিএম জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘এটাই স্বাভাবিক। মানুষের ধৈর্য্যের একটা সীমা থাকে। গ্রামের পর গ্রাম বহু রাস্তা খারাপ। রাস্তা তৈরি করলেও দুই তিন দিনের মধ্যেই তা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। মানুষ তিতিবিরক্ত। একদিকে মূল্যবৃদ্ধি অন্যদিকে রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, সাধারণ মানুষ অত্যন্ত বিরক্ত। আর তারই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে মানুষ। পঞ্চায়েত ভোটে মানুষ জবাব দেবে।’ একেবারেই এক কথা শোনা গেছে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্তম জুমদারের গলাতেও।