বিজেপি বা তৃণমূলকে কোনওভাবেই ভোট নয়, প্রয়োজনে ফাঁকা ব্যালট জমা দিন, বার্তা আলিমুদ্দিনের

পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রথম থেকেই বিজেপি ও তৃণমূল বিরোধী ‘মানুষের ঐক্য’র কথা বলেছে সিপিএম। ভোটের মুখে আলিমুদ্দিন থেকে এবার দলীয় কর্মী- সমর্থকদের উদ্দেশে কার্যত নয়া নির্দেশ দেওয়া হয় শুক্রবার।  আলিমুদ্দিনের স্পষ্ট বার্তা, ‘কোনওভাবেই বিজেপি কিংবা তৃণমূলে ভোট নয়। কোথাও যদি সিপিএম কিংবা তাদের সম মনোভাবাপন্ন দলের প্রার্থী না থাকে, সেখানে ফাঁকা ব্যালট জমা দিন।‘ প্রসঙ্গত, যেখানে সিপিএম, বাম শরিকের প্রার্থী কিংবা কংগ্রেস, আইএসএফ প্রার্থী রয়েছে, সেখানে তো আলাদা নির্দেশের ব্যাপার নেই। এমনকী যেখানে বাম সমর্থিত নির্দল রয়েছে, সেখানেও মাথা ব্যথা কম সিপিএমের রাজ্য দপ্তরের। তবে যেখানে বাম, কংগ্রেস বা আইএসএফের প্রার্থী নেই, সেখানে ফাঁকা ব্যালট পেপার জমা দেওয়ার নির্দেশ রাজ্য নেতৃত্বের।

শাসকদল তৃণমূল বারবারই দাবি করে আসছে, বিজেপির সঙ্গে ঘোঁট রয়েছে বামেদের। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে ২০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট ছিল সিপিএমের। একুশের বিধানসভা ভোটে সেই শতাংশ নেমে আসে ৫ শতাংশে। ‘বামের ভোট রামে’ গিয়েছে বলে বারবারই বিভিন্ন সভা থেকে সরব হতে দেখা গেছে তৃণণূল সুপ্রিমো থেকে শুরু করে সর্বস্তরের নেতাদের। এবার এই বামের ভোট রামে যাওয়া রুখতেই আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের তরফ থেকে নেওয়া হল বিশেষ পদক্ষেপ। সূত্রের খবর, জেলায় জেলায় এ নিয়ে নির্দেশও ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছে।

এর আগে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের গলায় একাধিকবার শোনা গিয়েছে, বিজেপি এবং তৃণমূল বিরোধী সমস্ত শক্তিকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান। সেই একই সুর শোনা গেছে এদিন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর গলাতেও। এদিন এই প্রসঙ্গে সুজনবাবু জানান, ‘তৃণমূল আর বিজেপি এই দুইয়ের বিরুদ্ধে মানুষের ঐক্যই আমাদের কথা। তৃণমূলকে ভোট না, বিজেপিকে ভোট না। বামপন্থীদের ভোট দিন, বিকল্প কোনও শক্তিকে ভোট দিন, মানুষের ঐক্য়কে ভোট দিন।’ একই কথা সিপিএমের রাজ্য কমিটির এক নেতার গলাতেও। বাম, কংগ্রেস বা সিপিএম সমর্থিত প্রার্থী না থাকলে ফাঁকা ব্যালট জমা দেওয়া হবে। বিজেপি, তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব কমাতে এবার নারাজ বামেরা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − 9 =