ভাঙড়ে সংঘর্ষের মাঝে যাঁদের মনোনয়ন কেন্দ্রে পৌঁছতে দেরি হয়ে গিয়েছিল, বাতিল হল তাঁদের মনোনয়ন। এ আইএসএফ-এর তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, অন্তত ৭০ থেকে ৭৫ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। তবে এখানেই হাল ছাড়তে রাজি নন তাঁরা। মনোনয়নের অধিকার পেতে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে আইএসএফ।
আইএসএফ-এর তরফে এও জানানো হয়েছে, ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় বুধবারই আদালতে মামলা করতে চলেছে আইএসএফ, এমনই জানিয়েছেন আইএসএফের রাজ্য কমিটির কার্যকরী সভাপতি শামসুর আলি মল্লিক। তাঁর আশা, আদালতের হস্তক্ষেপে মনোনয়ন জমা করতে পারবেন ওই প্রার্থীরা।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুন ছিল মনোনয়ন জমা করার শেষ দিন। ওই দিনই রণক্ষেত্রের আকার নেয় ভাঙড়। গুলিতে এক কর্মীর মৃত্যু হয় বলেও দাবি করা হয় আইএসএফ-এর তরফ থেকে। ওইদিন দুপুরেই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, যাঁরা মনোনয়ন দিতে পারছেন না, তাঁদের যেন পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যায়। শামসুর আলি মল্লিকের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও সেই নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয় পুলিশ-প্রশাসন। আর তার জেরেই মনোনয়ন কেন্দ্রে পৌঁছতে পারেননি কর্মীরা। পাশাপাশি তিনি এও জানান, সন্ত্রাসের হাত থেকে কোনও ক্রমে বেঁচে মনোনয়ন কেন্দ্রে পৌঁছেছিলেন প্রার্থীরা, আর তাঁদের মনোনয়ন পত্রই বাতিল হচ্ছে সময়ের পরে পৌঁছনোর অজুহাতে।
এদিকে সেদিন সময়ের পরে পৌঁছলেও মনোনয়ন নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন খোদ বিডিও। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ আইএসএফ। এখন আদালতে গিয়ে ন্যায়বিচারের আর্জি জানানো হবে দলের তরফ থেকে।