দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে রাজভবন থেকে মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে গেল মিষ্টি ও ফল

বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে সিভি আনন্দ বোসের ২ বছর পূর্তি হয়েছে শুক্রবার। সেই উপলক্ষে রাজভবন থেকে মিষ্টি, ফল পাঠানো হল মুখ্যমন্ত্রীকে। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ও শাসকদলের প্রতিনিধিদের রাজভবনে আসার আমন্ত্রণও জানান। পালটা উপহার হিসেবে শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে রাজ্যপালকেও পাঠানো হল মিষ্টি। এর এই ‘মিষ্টি’ বিনিময়ের খবরে জল্পনা শুরু হয়েছে, রাজ্যের প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক প্রধানের মধ্যে যেটুকু তিক্ততা তৈরি হয়েছিল, তা আপাতত অতীত।

সূত্রের খবর, শুক্রবার মিষ্টি ও ফলের ডালির সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মুখ্যমন্ত্রী চিঠিও পাঠান। তাতে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। সঙ্গে এও জানান, প্রথম বছরটা রাজ্য সরকারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলেও দ্বিতীয় বছর সেই সম্পর্কে ‘কাঁটা’ দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মতানৈক্য হয়েছে।  কিন্তু তৃতীয় বছরে তিনি আপ্রাণ চাইছেন, রাজ্য সরকারের হাতে হাত রেখে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলতে। রাজভবনের এই উপহারের পালটা শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফেও মিষ্টি পাঠানো হয় বলে খবর। তবে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে এখনই কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

উল্লেখ্য, এর আগে সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে রাজভবনেরই এক মহিলা কর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে শোরগোল শুরু হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনে যেতে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে রাস্তায় দেখা করে কথা বলবেন, কিন্তু রাজভবনে যাবেন না। কারণ, সেখানে নারীদের নিরাপত্তা নেই। এর পর ১৫ অগাস্ট চিরাচরিত চায়ের নিমন্ত্রণে রাজভবনের লবিতে গেলেও চা না খেয়ে ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর আর তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যাননি। এখন দেখার, দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে আনন্দ বোসের চিঠিতে সাড়া দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান কিনা।

এদিকে, রাজ্যপালের কর্মসময়ের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শনিবার দিনভর রাজভবনে ছিল অনুষ্ঠান। এর মধ্যে সবচেয়ে চমকপ্রদ নিজেই নিজের মূর্তি বসানো। ভারতীয় জাদুঘরের তত্বাবধানে সিভি আনন্দ বোসের একটি মূর্তি তৈরি হয়েছে। এদিন রাজভবনে সেই মূর্তি বসিয়ে নিজেই উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল। ছোটদের অঙ্কন কর্মশালায় নিজে ছবিও আঁকেন তিনি। এছাড়া সন্ধেবেলা রাজভবনের প্রেক্ষাগৃহে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 1 =