সাফল্য়ের শিখরে পৌঁছাতে চলছে এক ইঁদুর দৌড়ের। আর এই ইঁদুর দৌড় যেন শুরু হযেছে স্কুলে পা রাখার পর থেকেই। এদিকে এই প্রতিযোগিতাকে সামনে রেখে এগিয়ে আসছে নানা শিক্ষা সংস্থা। যারা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে ভার্চুয়াল মোডে তাদের গাইড লাইনে থাকলে বা তাদের কথা মেনে চললে সাফল্য় অনিবার্য। তবে সাফল্য়ে পাওয়ার আগে শিক্ষার্থীদের জন্য় যে সব ন্যূনতম সুবিধা প্রদান করা প্রয়োজন সেইদিকে বিশেষ নজর দিতে দেখাই যায় না এইসব শিক্ষা সংস্থাকে। পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যে একটা মানসিক বোঝাপড়া গড়ে তোলা প্রয়োজন তার হিসেব রাখে না এই সব সংস্থা। শুধু পরীক্ষার্থীই নয়, কোনও যোগাযোগ থাকে না পরীক্ষার্থীর অভিভাবকদেরও। ফলে গোড়াতেই থেকে যায় গলদ। এবার এই সব সংস্থাকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানাতে তৈরি ফিজিক্সওয়ালাহ্। এই সংস্থার তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, তারা যে কৌশলে পরীক্ষার্থীদের তৈরি করতে চান সেখানে ব্য়বহার করা হচ্ছে এক উন্নত মানের ভাবনা এবং প্রযুক্তি। যার ফলে শিক্ষক এবং পরীক্ষার্থীর মধ্য়ে তৈরি হয় এক নিবিড় সম্পর্ক। শুধু তাই নয়, পড়ুয়াদের অভিভাবকেরাও তাঁদের সন্তানরা কতটা মন দিয়ে এই পাঠ নিচ্ছেন সে ব্য়পারেও অবহিত থাকেন।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, ভারতের ফিজিক্স ওয়ালাহ্ (পিডাব্লু) দেশজুড়ে ৭৫টিরও বেশি নতুন প্রযুক্তি-সক্ষম বিদ্যাপীঠ অফলাইন কেন্দ্র চালু করতে চলেছে।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় বহুজাতিক এডটেক সংস্থা ফিজিক্স ওয়ালা (পিডাব্লু), ভারত জুড়ে সাশ্রয়ী, উন্নত মানের শিক্ষার গণতন্ত্রীকরণের লক্ষ্যে ২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে দেশব্যাপী ৭৫টিরও বেশি নতুন অফলাইন প্রযুক্তি-সক্ষম লার্নিং সেন্টার চালু করার ঘোষণা করল। সঙ্গে তারা এও জানিয়েছে এই নতুন কেন্দ্রগুলি ছড়িয়ে দেওয়া হবে তামিলনাড়ু, গুজরাত, জম্মু ও কাশ্মীর, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্র সহ আরো অনেক রাজ্যে। এই বিস্তার কার্যকরভাবে পিডব্লিউর অফলাইন উপস্থিতিকে ১৪১টি শহর জুড়ে ২০০টিরও বেশি কেন্দ্রে প্রসারিত করে, যা এর বিদ্যমান ১২৬টি বিদ্যাপীঠ এবং পাঠশালা কেন্দ্রের উপর ভিত্তি করে নির্মিত। এই কৌশলগত পরিকল্পনায় পিডব্লিউ ২য় সারি এবং ৩য় সারির শহরগুলির শিক্ষার্থীদের উপর বিশেষ নজর রাখছে। যেখানে তাদের উন্নত মানের শিক্ষা প্রদানের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে সহজেই সারা দেশে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এই সুবিধা পৌঁছে যায়।
ফিজিক্সওয়ালার এই পিডব্লিউর অফলাইন বিভাগটি দুটি মডেলে বিভক্ত। যার মধ্যে একটি বিদ্যাপীঠ (ভিপি) এবং অপরটি পাঠশালা (পিএস)। বিদ্যাপীঠগুলি প্রযুক্তি-সক্ষম অফলাইন কেন্দ্র যেখানে শিক্ষার্থীরা অভিজ্ঞ শিক্ষকদের নেতৃত্বে মুখোমুখি ক্লাসে অংশ নেয়। অন্যদিকে পাঠশালা মডেলটি তার অনন্য দ্বি-শিক্ষক ব্যবস্থার সাথে আরও উদ্ভাবনী পদ্ধতি নিয়ে আসে। পাঠশালা কেন্দ্রগুলিতে এই দ্বি-শিক্ষক ব্যবস্থা হল, শিক্ষার্থীরা ভার্চুয়ালি উপস্থিত শিক্ষকদের কাছে মুখোমুখি বা ফিজিক্যাল ক্লাসে অংশ নেয়, অন্যদিকে দ্বিতীয় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সন্দেহ দূর করতে এবং প্রশ্নের সমাধান করার জন্য শ্রেণিকক্ষে সশরীরে উপস্থিত থাকেন। উভয় মডেলকে একত্রিত করে, পিডব্লিউ ডিজিটাল এবং ফিজিক্যাল উভয় পদ্ধতিতে শিক্ষার পরিবেশকে একত্রিত করে, ধারাবাহিকভাবে সারা দেশে উন্নত মানের শিক্ষা প্রদানের চেষ্টা করে এই বহুজাতিক এডটেক সংস্থা।এই প্রসঙ্গে অঙ্কিত গুপ্তা, সিইও অফলাইন, ফিজিক্স ওয়ালাহ্ (পিডব্লিউ) জানান, ‘পিডব্লিউতে আমরা সর্বদা শিক্ষার্থীর চাহিদা এবং সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। আরও নতুন কেন্দ্র খোলার মাধ্যমে, আমরা শিক্ষার্থীদের উন্নত মানের শিক্ষা বাড়ির কাছেই এনে দিচ্ছি যাতে করে তাঁদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে না হয় এবং তাদের আর্থিক বোঝাও কম হবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক যা আমরা সমাধান করতে চাই তা হ’ল শিক্ষার্থীরা যখন শিক্ষার জন্য অন্য শহর বা রাজ্যে যায়, তখন তাদের নানারকম মানসিক ও প্রাক্ষোভিক চাপের মুখোমুখি হতে হয়। আর ঠিক সেই কারণেই আমরা সারা দেশে আরও শিক্ষা কেন্দ্র তৈরি করছি।’
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, ফিজিক্স ওয়ালা (পিডব্লিউ), সম্প্রতি ন্যাশনাল স্কলারশিপ কমন অ্যাডমিশন টেস্ট (এনএসএটি) ২০২৪ এর তৃতীয় সংস্করণ আয়োজন করেছিল যা অনলাইন এবং অফলাইন উভয় বিকল্পে অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি পৃথক বৃত্তি তহবিল তৈরি করা হয়। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হ’ল নিট-ইউজি এবং আইআইটি- জেইই পরীক্ষায় সাফল্য়ের শিখর ছুঁতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা এবং গাইডেন্স সরবরাহ করে সহায়তা করা।