‘ওঁরা বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসা নিয়ে কোনও কথা বলে না। তামিলনাড়ুতে দুর্নীতির মামলা থাকা সত্ত্বেও তারা ক্লিনচিট পায়।’ মঙ্গলবারের বৈঠক নিয়ে যখন বেঙ্গালুরুতে সাজো সাজো রব তার আগে জোটকে ঠিক এই ভাষাতে তীব্র কটাক্ষ করতে শোনা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সামনে আনেন বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসার ঘটনা। প্রশ্ন তোলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা নিয়ে বিরোধী জোটের সদস্যরা কেন চুপ করে রয়েছেন তা নিয়েও। মঙ্গলবার আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের পোর্ট ব্লেয়ার বিমানবন্দরের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সরকারি সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই ভাষাতেই বিদ্ধ করেন বিরোধী জোটকে। এরই পাশাপাশি রাহুল গান্ধির নাম না করেও মোদি কটাক্ষ করে বলেন, ‘আদালতে সাজাপ্রাপ্তরা এই বিরোধী জোটকে পথ দেখিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সংযোজন,’যাঁরা ভারতের দুর্দশার জন্য দায়ী তারা এখন তাঁদের দোকান খুলেছে। ২০২৪-এর লক্ষ্যে ২৬টা দল এক হয়েছে। এই দলগুলির ক্ষেত্রে এটাই মানায়। তারা মুখে অন্য গান গাইছেন। কিন্তু, বাস্তবতা অন্য কিছু। অন্য একটি লেবেল লাগানো হয়েছে। কিন্তু, আসল পণ্যটি অন্য কিছুর। তাদের দোকানে জাতপাতের বিষবাষ্প এবং বিপুল দুর্নীতি রয়েছে। এখন তারা বেঙ্গালুরুতে বৈঠক করছে।’
এখানেই শেষ নয়, বেঙ্গালুরুর বৈঠকটি আদতে ২০ লাখ কোটি টাকার দুর্নীতি বলেও তোপ দাগেন নরেন্দ্র মোদি। কংগ্রেস সরকারের কাজের সঙ্গে তাঁর সরকারের কাজের পরিসংখ্যান তুলে বিরোধীদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। বিরোধী দলগুলিকে পরিবারতন্ত্র নিয়ে খোঁচা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আজ বেঙ্গালুরুতে জড়ো হওয়া সকলে পরিবারতন্ত্রের কট্টর সমর্থক। এরা মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও আদতে এদের সবকিছু পরিবারের জন্য, পরিবারের সঙ্গে, পরিবারের পক্ষে। এদের কাছে পরিবারই প্রথম, দেশ কিছু নয়। এদের জন্য দেশের গরিবের বাচ্চার বিকাশ নয়, নিজের বাচ্চা, ভাই-ভাইপোর বিকাশই লক্ষ্য।’ সঙ্গে সংযোজন,’এখন কিছু লোক দেশকে নিয়ে দোকান খুলে বসেছে। এদের দোকানে দুটি জিনিসের গ্যারান্টি পাওয়া যায়,জাতিবাদের বিষ বিক্রি করা এবং দুর্নীতি করা।’