মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই পদক্ষেপ পুলিশের। এরপরই কলকাতা পুলিশের ছিনতাইবাজ দমন স্কোয়াডের অফিসারদের হাতে গ্রেপ্তার হয় তিন অভিযুক্ত। উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাই হওয়া মোবাইলটিও। ধৃতদের নাম মহম্মদ ফয়জল (১৯), মহম্মদ আলি (২০), আজহার আলম (২৩)। ধৃতদের প্রত্যেকেরই বাড়ি তিলজলা থানা এলাকায়। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে,ধৃত ওই তিন যুবক পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা।
ঘটনার সূত্রপাত, মঙ্গলবার সকাল ৬টা নাগাদ। মহেশ আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তি গুরুসদয় রোড ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তখন বালিগঞ্জে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অফিসার্স মেসের কাছে মোটর সাইকেলে চেপে এসে কিছু যুবক তাঁর মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়ে যায়। মহেশবাবু সঙ্গে সঙ্গে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে। অভিযোগ পাওয়ার পর দ্রুত পদক্ষেপ করে পুলিশ। তদন্তে নামে ছিনতাইবাজ দমন স্কোয়াড। প্রথমে ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে পুলিশ। বিশেষ সূত্র মারফত পুলিশ জানতে পারে,অভিযুক্তরা তিলজলা থানা এলাকার বাসিন্দা। সেই মতো অভিযান চালিয়ে তিন অভিযুক্ত যুবককেই পাকড়াও করা হয়। পুলিশি জেরায় অভিযুক্তরা স্বীকার করেছে মোবাইল ছিনতাইয়ের কথা। অভিযুক্তদের জেরা করে পুলিশ মোবাইল ফোনেরও সন্ধান পায়। মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে এবং ছিনতাইয়ের সময়ে যে মোটর সাইকেলটি ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, এর আগেও কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন সক্রিয় পদক্ষেপ দেখা গিয়েছে। কলকাতা শহরের চতুর্দিকে কড়া নজরদারি রয়েছে পুলিশের। কিছুদিন আগেই যেমন শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে এক ট্রাফিক কনস্টেবলের হাতে ধরা পড়েছিল মোবাইল চোর। বাস থেকে নেমেই উল্টোদিকে ছুটছিল। দেখে সন্দেহ হওয়ার ওই ট্রাফিক কনস্টেবলও পিছন পিছন ছুটে ওই ব্যক্তিকে পাকড়াও করেন। পরে তার থেকে চুরি করা মোবাইল পাওয়া গিয়েছিল